
কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর গর্ভবতী নারীরা ৬৪টি পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার বিএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে পরিচালিত তিনটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার ও ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এই গবেষণাগুলোর বিষয় ছিল: কমিউনিটি পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, পার্বত্য চট্টগ্রামের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণসংক্রান্ত আচরণ এবং খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসরত গর্ভবতী নারীদের খাদ্যসংক্রান্ত কুসংস্কার বা ‘ফুড ট্যাবু’। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন ডা. রাজন তালুকদার, ডা. অনির্বাণ চাকমা এবং ডা. মো. খালেকুজ্জামান। গবেষণায় বলা হয়, ত্রিপুরা, চাকমা এবং মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে ৬৪টি খাবার চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। অথচ এই খাবারগুলোর প্রায় সবই মা এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য পুষ্টিকর ও উপকারী। ফলে এসব ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার দূর করে মায়েদের এসব খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করা প্রয়োজন, যাতে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি