
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ট্যাম্পা শহরে আগামী বছরের ২৪ ও ২৫ অক্টোবর ‘৭ম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার ব্যবসা, সংস্কৃতি ও তরুণদের বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরার বিশেষ সুযোগ পাবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এসব কথা বলেন।
ডিআরইউতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মেলার কনভেনার আতিকুর রহমান বলেন, এবারের ফেয়ার ও ফেস্ট হবে ব্যবসা, উদ্ভাবন, সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক মহামিলনমেলা। এতে অংশ নেবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, সরকারি-ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পর্যটন খাতের উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং তরুণ উদ্যোক্তারা। মেলার আয়োজনের মূল আকর্ষণ থাকবে গ্লোবাল ট্রেড শো ও এক্সিবিশন, আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিট ও বি-টু-বি নেটওয়ার্কিং, ইয়ুথ সামিট-তরুণ উদ্যোক্তা ও ভবিষ্যৎ নেতাদের প্ল্যাটফর্ম, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ফুড ফেস্টিভ্যাল ও কুলিনারি শোকেসের পাশাপাশি আর্ট ও ক্র্যাফট প্রদর্শনী।
আতিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আট বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আছে। সম্প্রতি ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমাত্রায় শুল্ক আরোপ করায় প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুযোগ পাবে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ‘৭ম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট’ বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দল ও শিল্পীরা বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারবে এবং তরুণরা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবে। বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় এবারের আয়োজনে প্রায় ২০ হাজার ভিজিটর হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ওয়াল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্টের যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠিত মেলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ক্লিয়ারওয়াটার এবং ট্যাম্পের বে-তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, নীতিনির্ধারক এবং সংস্কৃতিপ্রেমীরা অংশগ্রহণ করেন।