
সংকটাপন্ন ৫টি ব্যাংকের কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা সমস্যায় আছেন। এসব ব্যাংক তীব্র তারল্য সংকটে থাকায় ব্যাংকগুলোয় রপ্তানি আয় (প্রত্যাবসিত রপ্তানি মূল্য) এলেও সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের সেই অর্থ সময়মতো দিতে পারছে না। এমনকি ব্যাংকগুলো নতুন এলসি খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট পোশাক কারখানাগুলো দারুণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করে এসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ-এর সহসভাপতি শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, ফাহিমা আক্তার, এবিএম সামছুদ্দিন প্রমুখ। গভর্নরের কাছে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে মাহমুদ হাসান বলেন, তীব্র তারল্য সংকটে থাকায় ব্যাংকগুলো রপ্তানি আয় (প্রত্যাবসিত রপ্তানি মূল্য) এলেও সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের সেই অর্থ সময়মতো পরিশোধ করছে না। এমনকি ব্যাংকগুলো নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। কারখানাগুলো সময়মতো শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিক অসন্তোষ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে, যা আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থি। তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের বাংলাদেশের প্রতি আস্থাও কমাচ্ছে, যা শিল্পের জন্য মোটেও শুভ নয়। বৈঠকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেক প্রতিষ্ঠান শিগ্গিরই রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হবে।