‘মাফিয়ারা হুমকি দিচ্ছে, সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে’ কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা।
চিকিৎসায় অবহেলায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনার মৃত্যুর বিচার শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তিনি। তবে সেই বিচারকার্য আগামী মঙ্গলবার থেকে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে এএফপি। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা। তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ আনা হয় সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। হয় মামলাও।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম পিছিয়ে আনা হয় এ বছরের মার্চে। বুয়েনস আইরেসের সান ইসিদ্রোতে মামলার বিচারকার্য চলবে চার মাস।
সাক্ষ্য দিবেন ম্যারাডোনার পরিবারের সদস্য, চিকিৎসকসহ ১০০ এরও বেশি মানুষ। দোষী প্রমাণিত হলে হলে সাত স্বাস্থ্যকর্মীর জেল হতে পারে ৮ থেকে ২৫ বছরের। ২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার আপিল আদালত জানান, ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত নিউরোসার্জন লিওপোল্ডো লুকু, মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাচোভসহ আরও ছয়জনকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
অভিযুক্ত নার্স গিজেলা দাহিয়ানা মাদ্রিদ জুরির মাধ্যমে তার বিচারিক কার্যক্রম আলাদাভাবে আয়োজনের আবেদন করেছিলেন।
তার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী জুলাইয়ে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে উঠে আসে স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা। তবে শেষ সময়ে সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা না পাওয়ার অভিযোগ উঠলে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।
মৃত্যুর আগে শেষ ১২ ঘণ্টায় ম্যারাডোনা তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে। চিকিৎসার অবহেলার কথাও উঠে আসে তাতে। ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেয়া হলে ম্যারাডোনা বেঁচে যেতে পারতেন বলেও মন্তব্য করা হয় তাতে।
