দিনটা হতে পারত পুরোপুরি বাংলাদেশের। তবে শেষ বিকালের ছোট্ট এক ঝড়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বাংলাদেশের জন্য হলো অমøমধুর। যা নিয়ে আক্ষেপ আছে চট্রগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার সাদমান ইসলামের। সাদমান যখন আউট হয়ে ফেরেন, দলের রান ৩ উইকেটে ১৯৪। সেখান থেকে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ৩ উইকেটে ২৫৯ রানে চলে যায়। তবে লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসার ৩ উইকেট ও মুশফিকুর রহিমের রানআউটে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে। দিন শেষে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ ৬৪ রানে এগিয়ে থাকলেও তাই আক্ষেপ আছে সাদমানের। বাংলাদেশ ৩টি উইকেট বেশি হারিয়েছে, সেটা না হলে লিড ১০০ রানের বেশি থাকতে পারত টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা সাদমান আজ সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন, সেটার মর্মার্থ এটাই, ‘আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, ৩টা উইকেট বেশি হয়ে গেছে। আমরা যদি ওই উইকেটগুলো না হারাতাম, ১০০ এর বেশি লিডে থাকতাম। আমরা একটা ভালো অবস্থানে ছিলাম, কিন্তু ওখান থেকে হয়তো আমরা একটু পিছিয়ে আছি।’
সাদমান আজ শুরু থেকেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছেন। আলগা বলগুলোতে রান আদায় করতে ভুল করেননি। টেস্টে কমপক্ষে ২৫ রান করেছেন এমন ইনিংসগুলোর মধ্যে আজই তিনি সর্বোচ্চ ৬৬.২৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন। সাদমান বলছেন, আলাদা পরিকল্পনা নয়, ইতিবাচক হয়েছেন ম্যাচ পরিস্থিতি দেখে, ‘এমন কোনো (ইনটেন্ট) নিয়ে ব্যাটিং করি না। অবশ্যই সুযোগ এলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করি। কখন কীভাবে খেলতে হয়, মাঠে বল যে রকম আসে, মেরিট অনুযায়ী খেলি।’
সাদমান ও এনামুল হকের সৌজন্যে ৩৩ ইনিংস ও ২৮ মাস পর টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রানের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এনামুল ফেরার ম্যাচে করেছেন ৩৯ রান। সাদমানের মুখে প্রশংসা শোনা গেছে এনামুলেরও, ‘উনি অনেক অভিজ্ঞ, সিনিয়র খেলোয়াড়। আমরা তো দেখেছি উনি সব সময়ই রান করে থাকেন। আজকে যে রকম শুরু করেছিলেন, খুব ভালো অবস্থায় ছিলেন, ভালো করছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়ে গেছেন।’ বাংলাদেশ এখনও দলীয় সংগ্রহে ১০০ রানের বেশি যোগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন সাদমান, ‘আমাদের মিরাজ আর তাইজুল ভাই আছে, অবশ্যই যদি ওরা ভালো একটা জুটি গড়ে, আরও ১০০-এর বেশি রান আসে, আমাদের জন্য ভালো। আশা করি, ভালো জুটি হলে আমরা খুব এগিয়ে থাকব।’