ঢাকার পর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শেষ হলো প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সুইমিংপুলে দিনব্যাপী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই পাঁচ জেলা থেকে সাঁতারু বাছাই করা হয়। এখান থেকে ১৭ জন সাঁতারুকে বাছাই করেছে সুইমিং ফেডারেশন। গত ১০ মে শুরু হয় এই অন্বেষণ কার্যক্রম। মিরপুরে জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে এই ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। চট্টগ্রামে ট্যালেন্ট হান্টে? ভালো সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন। তিনি বলেন, এখানে ঢাকার মতোই বলবো। তবে শারীরিক দিক বিবেচনা করলে চট্টগ্রামে আমরা ঢাকার চেয়ে ভালো সাঁতারু পেয়েছি।
সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনায় তাদের আমরা আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পে রাখব। তাদের থাকার ব্যবস্থা, খাবার একই সঙ্গে স্কুল সব ব্যবস্থাই করা হবে। ট্যালেন্ট হান্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য স্কুলের ব্যবস্থা করা। স্কুলের জন্য অনেকে ট্যালেন্ট হান্টে আসে না। অভিভাবকরা তাদের দিতে চান না। ‘সেক্ষেত্রে আমাদের সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান উনার স্কুলকে আমাদের জন্য দিয়েছেন। চূড়ান্তভাবে যেসব বাচ্চারা নির্বাচিত হবে তারা নৌবাহিনীর স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে। আমি মনে করি এই সুযোগ যেন কোন অভিভাবক মিস না করে।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণ সাঁতারুদের ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয়। সাঁতারুদের হাতে ইয়েস কার্ড তুলে দেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক ক্রীড়া সাজিয়া আফরিন ও নৌবাহিনীর কমান্ডার আলিমুল ইসলাম। ৯ থেকে ১১ বছর এবং ১২ থেকে ১৫ বছর এই দুই ক্যাটাগরিতে হচ্ছে বাছাই প্রক্রিয়া। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে সাঁতারু বাছাই করতে ১৫টি ভেন্যু নির্ধারণ করেছে সুইমিং ফেডারেশন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়া বাকি ১৩ টি ভেন্যু হচ্ছে চাঁদপুর, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, বরিশাল, মাদারীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ৩৭তম জাতীয় বয়স ভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতার জন্য ১৫-২৬ মে পর্যন্ত ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরবর্তী ভেন্যু হিসেবে ২৮ মে সিলেট ও বরিশালে অনুষ্ঠিত হবে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ কার্যক্রম। পুরো বাছাই প্রক্রিয়াকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এই পর্বে ৬৪টি জেলা থেকে ৬০০ জন সাঁতারু বাছাই করবে সুইমিং ফেডারেশন। দ্বিতীয় পর্ব ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুলাই থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। বাছাই পর্বের এই ধাপে সাঁতারুর সংখ্যা কমিয়ে ১০০ জনে আনা হবে।