ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর হাল ধরলেন কাইল মেয়ার্স ও ইফতিখার আহমেদ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। পরে শুরুতে খরুচে বোলিং করা সৈয়দ খালেদ আহমেদ ঘুরে দাঁড়ালেন দারুণভাবে। তার ৪ উইকেটে জয় পেল রংপুর রাইডার্স। গতকাল শুক্রবার সকালে গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) ম্যাচে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ৮ রানে হারায় রংপুর। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ১৬২ রানের জবাবে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় গায়ানা। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বোলিংবান্ধব উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি দুই দলের কেউ। বল হাতে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পার্থক্য গড়ে দেন খালেদ। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। গত মাসে পাকিস্তান সফরের শেষ ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় অভিজ্ঞ পেসারের। তবে শ্রীলঙ্কা সফরের দলে জায়গা হয়নি তার। জিএসএলে প্রথম ম্যাচের চমৎকার বোলিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আবার খুলে যাবে জাতীয় দলের দরজা। ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি রংপুর। কোনো উইকেট না হারালেও পাওয়ার প্লেতে ৪০ রানের বেশি নিতে পারেননি দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। অষ্টম ওভারে গুডাকেশ মোটির বলে বোল্ড হন ১৮ বলে ১৮ রান করা সাইফ। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৪৯ রান। মোটির পরের ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন সৌম্যও। ৫ চারে ৩৫ রান করতে ৩৬ বল খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর আজমতউল্লাহ ওমারজাই ও ইয়াসির আলি চৌধুরিও হতাশ করলে ছয়ের নিচে নেমে যায় রংপুরের রান রেট। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। মেয়ার্সের সঙ্গে গড়েন ১৩ বলে ২৬ রানের জুটি। ইনিংসের বাকি অংশের দায়িত্ব নেন মেয়ার্স ও ইফতিখার। দুজন মিলে গড়েন ৪৩ বলে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন মেয়ার্স। ২টি করে চার-ছক্কায় ২১ বলে ৩৪ রান করেন ইফতিখার। গায়ানার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোটি ও ইমরান তাহির। রান তাড়ায় শুরুতেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় গায়ানা। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন জনসন চার্লস ও মইন আলি।
সপ্তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসে ১৫ রান দেন খালেদ। পরে চার্লসকে (২৮ বলে ৪০) বোল্ড করে বিপদের আভাস দেওয়া জুটি ভাঙেন বাঁ-হাতি স্পিনার হারমিত সিং। তাব্রেইজ শামসির বলে কট বিহাইন্ড হন মইন (১৮ বলে ২৭)। ১৫তম ওভারে আক্রমণে ফিরে রাদারফোর্ডকে কট বিহাইন্ড করেন খালেদ। পরের ওভারে তার শিকার দারুণ ছন্দে থাকা শিমরন হেটমায়ার। দুই ওভারে ২০ রানের সমীকরণে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও ডেভিড ভিসার সামনে ৪ বলে ১১ রান দিয়ে ফেলেন খালেদ। তবে ওভারের শেষ দুই বলে প্রিটোরিয়াস ও শামার স্প্রিঙ্গারকে আউট করে রংপুরকে ফেরান অভিজ্ঞ পেসার। শেষ ওভারের প্রথম বলে ভিসাকে বোল্ড করে ম্যাচ শেষ করেন ওমারজাই। একই মাঠে আগামীকাল রোববার রাতে হোবার্ট হারিকেন্সের মুখোমুখি হবে রংপুর।