নেইমারের ফিরে আসা মানেই যেন এক আলোর ঝলক। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই সান্তোসের জার্সিতে নিজের পুরোনো রূপে দেখা দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই জাদুকর। নতুন চুক্তির পর প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন, করালেনও। আর তাতেই প্রীতি ম্যাচে ফেরোভিয়ারিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নিল সান্তোস। ব্রাজিলের কারিয়াসিকার ক্লেবের আন্দ্রাদে স্টেডিয়াম যেন নেইমারময় হয়ে উঠেছিল শুক্রবার রাতে। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে সান্তোস। ২০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিখুঁত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন নেইমার। এই গোলটি ছিল সান্তোসে ফেরা পর তার চতুর্থ গোল। সেইসঙ্গে ৩১ মিনিটে গিয়ের্মের করা গোলেও ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট। যেটি ফুটবল বোদ্ধাদের চোখে নিখুঁত ভিশনের উদাহরণ। প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সান্তোস। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেইমার মাঠে ফেরেননি, তার বদলে নামেন পাদুলা। ম্যাচে নজর কাড়লেন আরেক তরুণ রবিনিও জুনিয়র। ব্রাজিল ও সান্তোসের কিংবদন্তি রবিনিওর ছেলে, মাত্র ১৭ বছর বয়সেই মূল দলের জার্সিতে অভিষেক করলেন। বাবার প্রিয় ৭ নম্বর গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামা এই মিডফিল্ডার অভিষেকেই প্রশংসা কুড়ান দিয়েগো পিতুচার গোলে অ্যাসিস্ট দিয়ে। এই পারফরম্যান্স সান্তোস ভক্তদের মনে এনে দিয়েছে নতুন আশার আলো। বাবার মতোই কি এবার ছেলের মধ্যেও ফুটবে প্রতিভার ফুল? সব কিছু ঠিকঠাক চললেও ম্যাচটা পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক দর্শক নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ায় রেফারি ৮৫ মিনিটে খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলেই সান্তোসের জয় হিসেবে গণ্য করা হয়।