বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে কে খেলবে আর কে খেলবে না-তা নিয়ে একটা সময় বেশ উচ্চবাচ্য করতেন সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আমি অমুক খেলোয়াড়কে দলে নিতে বলেছিলাম বা তমুক খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া হবে আমি জানতাম না, এ ধরনের মন্তব্য করে টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতেন তিনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এ ধরনের আচরণকে স্রেফ ‘অপেশাদার’ মনে করেন। এমনকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার কথা বলারও কোনো প্রয়োজন দেখেন না তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দেখতে গত বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা দেখেছি যে মন্ত্রী এসে বলছে যে এই খেলোয়াড় খেলবে না। এগুলোতে একটা প্রতিষ্ঠান কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আমি যদি খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলি তাহলে এখানে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হবে অবশ্যই। দেখা যেতে পারে ক্রিকেটাররা আমার কাছে অন্য ধরনের কিছুই চাইতে পারে যেটা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। আমার মনে হয় পেশাদারত্বের সঙ্গে হ্যান্ডেল করা উচিত।’
পরে আরও স্পষ্ট করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দলের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারাই দল নিয়ে কাজ করবে। আমাদের কাজ প্রশাসন ও পলিসি নিয়ে কাজ করা, আমরা ওটাই করব। যে যার যার কাজ করলে আগামী দিনে আরও ভালো হবে।’ রাতারাতি পরিবর্তনের চেয়ে বরং দীর্ঘমেয়াদ টেকসই উন্নতির বার্তা দিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কাজ করতে চাচ্ছি লম্বা সময়ের জন্য। আমরা এখন পলিসি দিতে চাচ্ছি, বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি, প্রপার ট্রেনিং সেট-আপ দিতে চাচ্ছি। এর ফল হয়ত আমরা এখন পাবো না, কিন্তু পাঁচ বছর পরে দেখা যাবে। লং টার্মে এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে।’