ঢাকা সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সামিউনের ব্যাটে নাটকীয় জয় বাংলাদেশের

সামিউনের ব্যাটে নাটকীয় জয় বাংলাদেশের

লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৯ রান। বাংলাদেশের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইকবাল হোসেন যখন সাজঘরে ফিরলেন তখনও ২০ রানে পিছিয়ে। হাতে কেবল ১ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে হারারেতে চলছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা যুবারা। ভালো বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৮ রানে আটকে রাখলেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান। ভরসা করার মতো ছিলেন কেবল সাইমুন বশির। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে সাইয়ুন লড়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটেই নাটকীয় জয় পায় বাংলাদেশ। সঙ্গী হারানোর পর ২৮তম ওভারে জেমসকে পরপর দুই বলে দুই চার হাঁকান তিনি। পরের ওভারে বয়েসকে একটি চারের পর বিশাল ছক্কা উড়ান। তাতেই সমীকরণ নেমে আসে ১ রানে। ২৮তম ওভারের চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে দলের ১ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটসম্যান। ৩৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন সাইমুন। অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যান স্বাধীনকে স্ট্রাইক নেওয়ার সুযোগই দেননি তিনি। তার বিচক্ষণ ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ শেষের হাসিটা হাসতে পারে। বাকিদের ব্যাটিং একদমই ভালো হয়নি। ওপেনার জাওয়াদ আবরার করেন ২০ রান। আধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। আব্দুল্লাহ করেন ১৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেন বেসন। ৩ উইকেট পেয়েছেন মাজোলা। এর আগে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশিদূর যেতে পারেনি। ৩৪.৪ ওভারে ১২৮ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সাইমুন ও স্বাধীন। প্রোটিয়াদের কেউ ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন আরমান মানাক। আগের দিন ডাবল সেঞ্চুরি করা স্কালভিক আজ করেছেন ১০ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাইমুন। আগামী ২৮ জুলাই একই মাঠে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত