
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। নিয়মিত দলে জায়গা না হলেও সুযোগ পেলেই তিনি পারফর্ম করতে ভুল করেন না। বিশেষ করে পাওয়ার-প্লের বোলিংয়ে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে মেহেদীর। তিনি নিজের বোলিংকে আরও শক্তিশালি করতে চান, পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠতে চান ব্যাটিংয়েও। তবে কোনো তকমা পাওয়ার পেছনে না ছুটে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে এগোতে চান এই স্পিনার।
সম্প্রতি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে মেহেদী বলেন, ‘নতুন বলে আমার বোলিংকে আরও ক্ষুরধার করা প্রয়োজন। এটি আগের মতো বাজে নয়। তবে আমাকে মানিয়ে নিতে হয়েছে এবং আমি খুশি যে আমি এটি করতে পেরেছি। যদিও নতুন বলের সেরা বোলার তকমা পাওয়া নিয়ে চিন্তিত নই। আমার একমাত্র লক্ষ্য হলো প্রতিদিন উন্নতি করা। আমি পাওয়ারপ্লেতে বোলিং উপভোগ করি এবং সেটা নিয়মিত করে আসছি। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট অভিজ্ঞ।’ অলরাউন্ডার হলেও ব্যাটিংয়ে সেভাবে কার্যকরী হতে পারছেন না মেহেদী। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও তিনি অবদান রাখতে চান, ‘ব্যাট হাতে অবদান রাখা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমরা এখন প্রায়ই ব্যাটিং কলাপ্সে পড়ছি। মাঝে মাঝে আমাকে শুরুতেই খেলতে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে, বল নরম হলে আমি সাধারণত পাঁচ ওভার ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত থাকি, কিন্তু যখন আমি আগে মাঠে নামি, তখন তুলনামূলকভাবে নতুন বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়।’
পেসারদের বিপক্ষে মেহেদীর দুর্বলতা স্পষ্ট। সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় আছেন ৩০ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার, ‘নেটে সাধারণত টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা নতুন বলের মুখোমুখি হন। তবে আমার মনে হয় নতুন বলের মোকাবিলায় আমারও প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ। বিশেষ করে আমাদের টপ পেসারদের বিরুদ্ধে। যারা বল সুইং করায় বা বলের গতি দিয়ে আপনাকে পরীক্ষা করে। আমি বলছি না তাদের সেশনের সময় আমাকে ব্যাট করতে হবে। তবে যখন আমাদের সময় আসে, তখন আমাদের কমপক্ষে দুইটি ওভার ভালো গতির বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করা উচিৎ। এভাবে প্রস্তুতি নিলে যখন আমি ওপরে ব্যাট করব, তখন দ্রুত আমার জোনে চলে যেতে পারব।’