ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে ব্যাডমিন্টনে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার

ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে ব্যাডমিন্টনে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার

পিডাব্লিউডির হয়ে প্রথম বিভাগ ফুটবলে খেললেও অবসরের পর ফুটবলের সঙ্গে জড়াননি। যুক্ত হয়েছিলেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। ৪৫ বছর বয়সে হঠাৎ করে ব্যাডমিন্টনে ঝোঁক বাড়ে তার। খেলতে খেলতে জাতীয়ভাবে র‍্যাংকিংয়ে জায়গাও করে নেন। এরপর ঢুকে পড়েন কোচিংয়ে। দেশের বাইরে থেকে হাইপারফরম্যান্স ট্রেনিং কোচ হয়ে নিজের একাডেমি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার মীর সারওয়ার আলীকে মাঝে ২০২৩ সালে কিছুদিনের জন্য জাতীয় দলের কোচও করা হয়েছিল। কিন্তু এবার এসএ গেমসের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সারওয়ার আলীর ওপর ভরসা রেখেছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। তাকে কেন্দ্র করে এখন বড় স্বপ্ন। সারওয়ার আলী নিজেও পুরোপুরি ব্যাডমিন্টন পাগল। ব্যবসা-বাণিজ্য না করে ব্যাডমিন্টনে কোচিং করেই ক্যারিয়ার এগিয়ে নিচ্ছেন। বয়স তার ৬৩। এই বয়সে শাটলারদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আপাতত ২৪ জন শাটলার নিয়ে ক্যাম্প শুরু হবে। সেখান থেকে ১২ জনে নিয়ে আসা হবে। এসএ গেমসে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব যে ভালো তা নয়। তবে সারওয়ার আলীর স্বপ্ন বহুদূর। তার একাডেমি কিংবা কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ২৫ জনের মতো মেধাবী শাটলার বেরিয়েছে। বর্তমান জাতীয় দলে আছেন ৮ জন। সারওয়ার আলী বলেছেন, ‘দেখুন স্বপ্ন দেখতে হলে ব্রোঞ্চ কিংবা রুপা নয় স্বর্ণপদকের জন্য দেখা উচিত। আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর মেধাবী শাটলার আছে। আমি নিজেও অনেককে কোচিং করিয়েছি। আমার মনে হয় তাদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখাই যায়।’

তবে এর জন্য প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধার প্রয়োজন মনে করেন বর্ষীয়ান কোচ, ‘শুধু কোচিং করালেই হবে না। শাটলাররা যেন সুযোগ সুবিধা ঠিকমতো পায়। বিশেষ করে শীত মৌসুমে বাইরে খেলার আমন্ত্রণ থাকে তাদের। সেখানে অর্থযোগের বিষয় থাকে। তাই সবকিছুর সমন্বয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে পদক সম্ভব হবে।’

সারওয়ার আলী এখন পুরোদস্তুর কোচিং পেশায় আছেন। মালয়েশিয়া ও কলকাতায় কোচিং করিয়েছেন, এখন আছেন রাজশাহীর একাডেমিতে। বুয়েট থেকে পাস করে ব্যবসা বাণিজ্যের এক পর্যায়ে ব্যাডমিন্টনে পেশাদার কোচ হওয়ার পেছনের কারণ নিয়ে বলেছেন, ‘কেন জানি আমার ব্যাডমিন্টন বেশি ভালো লেগে যায়। আমি নিজের টাকায় ৪০ লাখ ব্যয় করে কোচিং কোর্স করিয়েছি। একাডেমি করেছিলাম। ব্যাডমিন্টনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ করছি না, ছেড়ে দিয়েছি। কোচিং করেই আমি সন্তুষ্ট বলতে পারেন। স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন একসময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাপিয়ে বেড়াবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত