
ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন লিওনেল মেসি। বারবার ছোট-বড় চোট তার মাঠের উপস্থিতি সীমিত করে দিচ্ছে। সর্বশেষ লিগস কাপের ম্যাচেও চোট বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্জেন্টাইন তারকার জন্য। নেকাক্সার বিপক্ষে রোমাঞ্চ ও উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে টাইব্রেকারে জিতলেও ইন্টার মায়ামির জন্য দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে মেসি চোট। তার সতীর্থ জর্দি আলবা বলছেন, আর্জেন্টাইন মহাতারকার চোটে দলের সবাই খুব কষ্ট পেয়েছে। স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারের আশা, খুব বেশিদিন হয়তো মাঠের বাইরে থাকতে হবে না মেসিকে। বাংলাদেশ সময় গতকাল রোববার ভোরে টাইব্রেকারে মায়ামির ৫-৪ গোলে জেতা এই ম্যাচে মেসি খেলতে পারেন কেবল প্রথম ১০ মিনিট। প্রতিপক্ষের রাউল সানচেস ও আলেক্সি পেনিয়ার চ্যালেঞ্জে মাঠে পড়ে যান তিনি। পরে উঠে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করেন খেলা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু মিনিট দুয়েক পরই অস্বস্তিময় চেহারায় মাঠ ছেড়ে যান রেকর্ড আটবারের ব্যালন দ’র জয়ী।
পেশির চোটে ২০২৫ সালের শুরুতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাইরে থাকতে হয়েছিল মেসিকে। নতুন চোটে তাকে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগছেন তিনি। পরীক্ষা করানোর পর বোঝা যাবে তার চোটের অবস্থা। ৩৮ বছর বয়সী মেসিকে নিয়ে ইতিবাচক খবর পাওয়ার আশায় আছেন তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ আলবা। গোটা দলের জন্য খুব কষ্টের যে, বিশ্বের সেরা, ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় চোটাক্রান্ত। সে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। এটা (চোট) হতাশাজনক। আশা করি, এটা গুরুতর নয়, কারণ তাকে আমাদের প্রয়োজন।’ মেসির চোট নিয়ে ম্যাচের পর কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, ‘হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি অনুভব করছিল লিও। আগামীকালের আগ পর্যন্ত বোঝা যাবে না চোট কতটা গুরুতর। তার ব্যথা ততটা নেই, তবে কিছু একটা সমস্যা সম্ভবত আছে। হয়তো খুব বাজে কিছু নেই, কারণ ব্যথা অনুভব করছে না। তবে অস্বস্তি আছে।’
এই চোটের আগ পর্যন্ত টানা খেলে যাচ্ছিলেন মেসি। কদিন আগে অল স্টার ম্যাচটি না খেলার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৬ ম্যাচের প্রতিটি মিনিট মাঠে ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর টানা সবচেয়ে বেশি খেলেছেন এই সময়েই। এ বছর সব মিলিয়ে মায়ামির জার্সিতে ৩০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দুর্দান্ত ফর্মেও ছিলেন মায়ামি অধিনায়ক। মেজর লিগ সকারে ১৮ গোল করে তিনি যৌথভাবে এখন শীর্ষে। লিগস কাপের প্রথম ম্যাচে জালের দেখা না পেলেও সহায়তা করেন দলের দুটি গোলেই। এরপর এই চোটের ধাক্কা। ২০২৩ সালে মায়ামির লিগস কাপ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন মেসি। চলতি আসরে তিনি আর খেলতে পারবেন কি-না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।