ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পার্থ অ্যাকাডেমির সঙ্গে পারলেন না সোহানরা

পার্থ অ্যাকাডেমির সঙ্গে পারলেন না সোহানরা

টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ২৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন। সেই ম্যাচটি ৩২ রানে জিতে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে অনুষ্ঠিত টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ ‘এ’। বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আফিফ অপরাজিত ছিলেন তৃতীয় ম্যাচেও। টিআইও স্টেডিয়ামে বিগ ব্যাশের দল পার্থ স্করচার্সের একাডেমি দলের বিপক্ষে এবার ৪২ রান করেছেন। তবে এই রান করতে ৪৯ বল খেলতে হয়েছে তাকে। ১০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেট যাওয়া আফিফ ছাড়া আর কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। বাংলাদেশ ‘এ’ পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১২৩ রান। পার্থ স্করচার্স একাডেমি রানটা পেরিয়ে যায় ১২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই। তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল দলটি। অন্যদিকে সমান ম্যাচে দ্বিতীয়বার হারল বাংলাদেশ ‘এ। এই হারে সেমিফাইনালে ওঠার পথটা কঠিন হয়ে গেল নুরুল হাসানের দলের জন্য। ১১ দলের টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল খেলবে ৬টি করে ম্যাচ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারটি দল উঠবে সেমিফাইনাল।

হারলো লো স্কোরিং ম্যাচেও বাংলাদেশ ভালো লড়াই করেছে। ইনিংসের প্রথম ওভারে ১১ রান দেওয়া নাঈম হাসান, রাকিবুল হাসান ও হাসান মাহমুদ মিতব্যয়ী বোলিং করেন। চার ওভারে নাঈম ও রাকিবুল ৩১ ও ১৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেটও নেন। ১৩তম ওভারে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারায় পার্থ। তবে জোয়েল কুর্টিস ও ম্যাথু স্পুর্স ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাদের ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার একাডেমি দল লক্ষ্যে পৌঁছায়। ১৮তম ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে চারটি চার মেরে ১৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেন কুর্টিস ও স্পুর্স। ফিল্ডিংয়ে দুটি ক্যাচ নেওয়ার পর ৩৪ বলে চারটি করে চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকায় ম্যাচসেরা হন কুর্টিস। ১৬ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন স্পুর্স। পার্থের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন টিগুয়ে উইলি। নেপালকে আগের ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশের দল ব্যাটিংয়ে নামে। পঞ্চম ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় তারা, আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। চারে নেমে ৪৯ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান রাকিবুলের ব্যাটে ছিল। এছাড়া সমান ১৪ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মৃত্যুঞ্জয়। ৯৬ রানে আট উইকেট হারিয়ে একশর আগেই অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। রাকিবুলকে নিয়ে আফিফের ২২ রানের জুটিতে একশ পার করে তারা। ব্রাইস জ্যাকসন পার্থের হয়ে তিনটি উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান অ্যালবার্ট এস্টারহুইসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত