
দিনের আলো যখন কমে আসছিল তখন সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ দিনের মতো তাকে থামতেই হলো, অনেকটাই যে কমে গেল আলো। দিনশেষে তিনি অপরাজিত রইলেন ৯৩ রানে। অন্যদিকে মিরপুরে তিন দিনের মধ্যে খুলনাকে হারিয়ে দিল রাজশাহী। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাজশাহীর ৭ উইকেটের জয়ে বলার মতো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বলতে প্রথম ইনিংসে সাতে নেমে শাখির হোসেনের ৮৯ রান। ম্যাচ জিততে ১০৯ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল রাজশাহী। নাজমুল হোসেনের দল ২৩.৫ ওভারেই পেরিয়ে যায় সেই লক্ষ্য। জয়ের জন্য যখন ১ রান দরকার, কাউ কর্নার দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মেরে দেন সাব্বির রহমান। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ব্যাটসম্যান ৭ বলে করেন ১২ রান। রান তাড়ায় দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ওপেনার হাবিবুর রহমান। সাব্বির হোসেনকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান যোগ করে জয়ের ভিত গড়ে দেন হাবিবুর।
এর আগে ১ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা খুলনা অলআউট হয় ২৫৫ রানে। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলটির আরও চার ব্যাটসম্যান ৩০ ছাড়ালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। রাজশাহীর জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ৭১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদও। ২৬ বছর বয়সি খেলোয়াড় খরচ করেছেন ২৯ রান। ম্যাচসেরা ৫ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার এসএম মেহেরব।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিমের ১৮ সেঞ্চুরি। এর মাত্র ১টিই জাতীয় ক্রিকেট লিগে। মাত্র তিন বছর আগেই রাজশাহীর হয়ে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ১১০ রান করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। সেই মুশফিক জাতীয় লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির খুব কাছে দাঁড়িয়ে। এবার সিলেট বিভাগের হয়ে খেলা মুশফিক ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছেন। তার দল আজ সারা দিন ব্যাট করেছে। বিনা উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি দিন শেষ করে ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলে। ঢাকার চেয়ে এখনো ৫০ রানে পিছিয়ে সিলেট। মুশফিক যখন ব্যাটিংয়ে নামেন ৮২ রানে ৩ উইকেট নেই সিলেটের। রানটা ১১৮ হতেই নেই আরও ২ উইকেট। এরপর শাহানুরকে (৩০) নিয়ে ৯৪ রানের জুটি মুশফিকের। ১৭০ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন মুশফিক। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামে-বরিশাল ম্যাচের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ১৫ ওভার। আগের রাতের বৃষ্টির প্রভাবে আউটফিল্ড খেলার অনুপযুক্ত হয়ে যায়। মাঠ ঠিকঠাক করতে দেরি হওয়াতেই এই বিপত্তি। আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধও হয়েছে আগেভাগে। ২ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশাল দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ১৬৬ রান তুলে। পাশের একাডেমি মাঠে ময়মনসিংহ-রংপুর ম্যাচে একটি বলও হতে পারেনি একই কারণে।