
প্রায় ৩০০ বডিবিল্ডারদের পদচারণায় মুখর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়াম। কেউ শরীরে রং মাখছিলেন। যাতে লাইটের আলোতে বডির নৈপূণ্য ফুটে ওঠে। আবার কেউ অনুশীলন করছিলেন। অডিটোরিয়ামে প্রবেশমুখে বডিবিল্ডারদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের দোকানও ছিল। দুই বছর পর গতকাল শনিবার শুরু হওয়া জাতীয় বডিবিল্ডিং টুর্নামেন্টের তিনটি ক্যাটাগরিতে ১২টি ওজন শ্রেণিতে পদকের জন্য নিজেদের শারীরিক নৈপূণ্য প্রদর্শন করছেন শরীরগঠনবিদরা। মেন্স বডিবিল্ডিং, মাস্টার্স ও মেন্স ফিজিক এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ৫৫, ৬০, ৬৫, ৭০, ৭৫, ৮০, ৮৫ ও ঊর্ধ্ব ৮৫ কেজি এবং ১৬৬, ১৭০ ও ১৭০ ঊর্ধ্ব সেন্টিমিটারে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বডিবিল্ডারদের নৈপূণ্যের সঙ্গে আনন্দ যোগ হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান, অতিরিক্ত আইজিপি ও বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের প্রনোদনায়।
তিন দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করতে এসে তিনি বলেন, ‘জাতীয় এই টুর্নমেন্টে যারা ভালো করবে বা যারা মিস্টার বাংলাদেশ খেতাব জিতবে, তাদেরকে বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রো-বডিবিল্ডিং খেলতে যেতে সহায়তা করা হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরিতে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অতীতেও জাতীয় বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতা হয়েছে। দুই বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের আসরটি বেশ জাকজমকপূর্ণ করে আয়োজন করা হয়েছে। আসরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তরুণদের। তারুণ্যের বাংলাদেশে গুরুত্ব পেয়েছেন তরুণ বডিবিল্ডাররাই।