ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভারত বধের পুরস্কার পেলেন হামজা চৌধুরীরা

ভারত বধের পুরস্কার পেলেন হামজা চৌধুরীরা

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর মর্যাদার লড়াই। কিন্তু ২০০৩ সালের পর প্রতিবেশী দেশটিকে হারাতে পারেনি লাল সবুজ দল। ঘরের মাঠে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচে সুযোগ আজে জামাল ভূঁইয়াদের সামনে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে আক্ষেপ ঘুচায় বাংলাদেশ। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোয় ফুটবল দলের জন্য ড্রেসিংরুমে তাৎক্ষণিকভাবে ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেই পুরস্কারের টাকা অবশেষে জামাল ভূঁইয়াদের দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে সংস্থার পরিচালক প্রশিক্ষণ লাবণী চাকমার কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ম্যানেজার আমের খান ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকা ২৩ ফুটবলার, হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ম্যানেজার আমের ৭ লাখ করে এবং কোচিং স্টাফের অন্য পাঁচ সদস্য ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। বাংলাদেশ দলের অন্যতম অংশ টিম অ্যাটেনডেন্ট মো. মহসীন। ২০০৩ সালে সাফের সেমিফাইনালে ভারত বধের ম্যাচেও তিনি ছিলেন দলের সঙ্গে। ২২ বছর পরের জয়েও তিনি ছিলেন। দলের নিবেদিত প্রাণ এবং স্বল্প আয়ের মহসীন আর্থিক পুরস্কার পাননি। শুধু তিনি নন, দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসিফ ইসলামও টাকা পাননি। ভিডিও অ্যানালিস্টের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই কোচ পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করেন। টিম অ্যাটেনডেন্ট, ভিডিও অ্যানালিস্টের পাশাপাশি মিডিয়া ম্যানেজার ও টিম ডাক্তারও এই পুরস্কারের তালিকায় নেই।

জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের বোনাস নিয়ে বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল, তাদের নামও ছিল। কারণ তারা দলের অংশ। আমরা আজ এনএসসিতে ৩০ জনের চেক পেয়েছি। ’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম বোনাস বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘যারা ভারত ম্যাচের দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং অবদান রেখেছে তাদেরকেই মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকরা বিবেচনা করেছে।’

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেড় কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করা হয়েছিল। এশিয়া কাপে উঠা দলকে দেওয়া হয় ৫০ লাখ টাকা। দুই ক্ষেত্রে তাদের টিমের মিডিয়া ম্যানেজার, ভিডিও অ্যানালিস্ট, ডাক্তার পেলেও পুরুষ দলের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ছাড়া দেশের কোনো ক্রীড়া ফেডারেশন এমনকি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা মন্ত্রণালয়েরও পুরস্কারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত