
জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি নিয়েছিলেন তিনি, যা তার ক্যারিয়ারকে নতুন গতি দিয়েছিল, হয়ে উঠেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গ্রেট ফুটবলার। তবে, এভারটন ছেড়ে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিতে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর হুমকিও পেতে হয়েছিল তাকে!
শৈশবের ক্লাব এভারটনের হয়েই ২০০২ সালে সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক হয় রুনির। সেখানে মেলে ধরে ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়েন তিনি। তাকে ধরে রাখতে ক্লাবের রেকর্ড চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল এভারটন, কিন্তু ২০০৪ সালে দুই কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাড়ি জমান রুনি। মার্সিসাইড থেকে তার চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তখন একদমই ভালোভাবে নেয়নি এভারটনের সমর্থকরা। তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বিবিসি স্পোর্টের ‘ওয়েইন রুনি শো’য়ে সেই সময়ের কথা শোনালেন রুনি। ‘আমি মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলাম। আমার বাবা-মার বাড়ির দেয়ালে তারা স্প্রে দিয়ে নানা চিত্র এঁকেছিল এবং ভাঙচুরও করেছিল। আমার ওই সময়ের প্রেমিকা, বর্তমানে যে আমার স্ত্রী, তার বাড়ির দেওয়ালেও অনেক কিছু এঁকেছিল তারা।’
‘আমি মনে করি, এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। আপনার আশেপাশের মানুষদের আপনাকে সাহায্য করতে হবে।’ ওই সময় ইউনাইটেডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত খুব কঠিন ছিল বলেও জানালেন রুনি। ‘(এভারটন) ছেড়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল, কারণ আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলাম। আর লিভারপুল ও ম্যানচেস্টারের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, যা পুরো ব্যাপারটিকে আরও কঠিন করে তুলেছিল।’ ‘তবে সবসময় আমার মধ্যে (আমি পাত্তা দেই না) মনোভাব ছিল। আমি জানতাম যে কী চাই এবং এটাও জানতাম লক্ষ্যে পৌঁছাতে কী করতে হবে।’ ইউনাইটেডে গিয়ে অল্প সময়েই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছিলেন রুনি। ক্লাবটির হয়ে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অনেক ট্রফি জিতেছিলেন সাবেক এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।