ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি এনএসসির

আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি এনএসসির

বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের একজন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকা ভারতে এক সংক্ষিপ্ত সফরে আছেন। কলকাতায় তিনি পা রাখার পর অনেক অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে, যার দায় আয়োজকদের। এজন্য এরইমধ্যে স্পোর্টস প্রমোটার (যিনি মেসিকে এনেছেন) শতদ্রু দত্তকে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশেও একই সময় খানিকটা এরকম ঘটনা ঘটেছে এএফ বক্সিং প্রমোশনের আয়োজিত লাতিন বাংলা সুপার কাপে। পেশাদার বক্সিং সংগঠক আসাদুজ্জামান এই টুর্নামেন্টের শেষ দিকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দুই তারকা কাফু ও ক্যানিজিয়াকে আনার ঘোষণা দেন। এজন্য টিকিটের বড় দামও নির্ধারণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের আনতে পারেননি। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা থেকে অখ্যাত দুই দল ঢাকায় এসেছিল। কিন্তু সেই দলের ফুটবলাররা এসে পড়েছেন ভোগান্তিতে। হোটেল বিল বাকি থাকায় হোটেল ছাড়তে হয়েছে, বিমান টিকিট কনফার্ম হয়নি অনেকের। আবার দুই ম্যাচেই ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। এক ক্রীড়া সাংবাদিককে চরম লাঞ্চনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শর্ত ভঙ্গ করায় ভেন্যু বরাদ্দ স্থগিত হওয়ার পর ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি আর হয়নি। এখনও দেশে ফেরার টিকিটও পায়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব।

গতকাল রোববার বাফুফে ভবনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। আমরা তাদের সময় দিয়েছি আজকের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এই টিকিটের ব্যবস্থা যদি উনারা না করে দেন, আমাদের উপদেষ্টা মহোদয় আছেন, সচিব আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। একটা দেশের খেলোয়াড়দেরকে এনে এভাবে আপনি রাস্তায় ছেড়ে দিবেন, টিকিট দিবেন না, এইটা তো আপনার ছেলেখেলা নয়।’

আসাদুজ্জামান মূলত বক্সিং সংগঠক। ফুটবলের জন্য তার ভেন্যু বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই যে বক্সিং প্রমোশন, আমরা কিন্তু তাদেরকে চিনি না। এবং আমরা তাদেরকে মাঠ এভাবে দিতামও না। বাফুফে আমাদেরকে চিঠি দিয়েছে। তারা বলেছে, আমাদের জানিয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু আমরা তাদের দিয়েছি। সুতরাং এখন বাফুফের তাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, আমরা জানি না। আমরা আমাদের সঙ্গে বক্সিং প্রমোশন বা অর্গানাইজেশনকে যে শর্ত আমরা দিয়েছিলাম, তারা সেই শর্ত ভঙ্গ করেছে। এবং সেই কারণেই আজকে তাদের এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাকে জানাতে চাই যে বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো অর্গানাইজেশন, যারা দেশের সুনাম নিয়ে আপনাকে অবহেলা বা অবজ্ঞা করছে, আমরা আইনগতভাবে তাদের কোনো ছাড় দিব না।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের পর ফেডারেশন ভবন ছাড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই তার বদলি আদেশ জারি হয়। তার নতুন পদায়ন হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক হিসেবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে পদায়ন হয়েছে বিসিএস ২১তম ব্যাচ প্রশাসন ক্যাডারের যুগ্ম সচিব মো. দৌলতুজ্জামান খানের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত