পাবনার ঈশ্বরদীতে লিচুর মুকুলের অভাবে মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়েছেন মৌচাষিরা। প্রতিবছর ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে লিচুর বাগান মৌমাছির অন্যতম প্রধান উৎস হলেও এবার ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যাচ্ছে। শতকরা ৮০ ভাগ লিচুর গাছে মুকুল না আসায় মৌমাছির সংখ্যা কমে গেছে, ফলে মধু সংগ্রহও প্রায় বন্ধের পথে।
বুধবার (১৯ মার্চ) উপজেলার জয়নগর, মানিকনগর, বড়ইচারা, মিরকামারী, সাহাপুর, ভাড়ইমারী, জগন্নাথপুর, বক্তারপুর, আওতাপাড়া, বাঁশের বাদা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, যেখানে প্রতিবছর মৌচাষিরা আসতেন, সেসব বাগান এবার ফাঁকা পড়ে আছে। মৌমাছির অভাবে মধু সংগ্রহকারী মৌচাষিদের দেখা মিলছে না।
খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট থেকে আসা মৌচাষিরা প্রতিবছর লিচুর মুকুল থেকে বিপুল পরিমাণ মধু সংগ্রহ করতেন। এবার মুকুল না থাকায় তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান মৌচাষি আবেদ আলী।
তিনি বলেন, "মৌমাছিরা ফুলের মধু সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে, আর আমরা সেই মধু বাজারজাত করি। কিন্তু এবার লিচুর মুকুল কম থাকায় মৌমাছির খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং মৌচাষিরা চরম দুর্দশায় পড়েছেন।"
মুকুল সংকটের কারণে মৌচাষিরা বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য আর্থিকভাবে কঠিন হয়ে পড়েছে।
আবা/এসএস