পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা ডিগ্রীর চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন এবং ১০ জন আহত হন। শনিবার সকালে ওই এলাকায় ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় শনিবার দুপুরের পর থেকে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে এবং চারজনকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। গুলিবিদ্ধরা হলেন- চরকুড়ুলিয়া গ্রামের রেকাত আলীর ছেলে পিল্লু (২৬), ছুবাইল (২৪), আসিফ (২০), আলম (২৭) এবং বাদশা (২১)। আহতরা সকলেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অভিযানের সময় এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয় এবং সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ইয়াছিন আলীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলযোগে একদল লোক ডিগ্রীর চরে যায় এবং কুষ্টিয়ার মুকুল-তরিকুল বাহিনীর অন্তত ৫০ জনের একটি দলও সেখানে অবস্থান করছিল। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, "ডিগ্রীর চর ঈশ্বরদী উপজেলার সীমানায় হলেও এর কিছু অংশ কুষ্টিয়ার সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় কুষ্টিয়ার মুকুল বাহিনী জমিগুলো দখলে রাখতে চায়, আর ইয়াছিন বাহিনীও মরিয়া হয়ে ওই জমি দখলে নিতে চায়।"
গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়রা জানান, আতঙ্কে শিশুরা কাঁদছে, মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানি আজিজুল হক বলেন, "দোকানপাট বন্ধ, এক টাকাও বিক্রি হয়নি। এমন চলতে থাকলে আমরা না খেয়ে মরবো।"
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, "চর দখল নিয়ে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।"