যমুনা সেতুর পরিত্যক্ত রেলপথ সরিয়ে সড়ক বাড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য এ রেলপথের অপসারণ চেয়ে সেতু বিভাগে পৃথক দুটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ এ চিঠি দিয়েছেন।
যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যমুনা সেতুতে পরিত্যক্ত রেলপথের প্রস্থ সাড়ে ৩ মিটার। এ রেলপথ অপসারণ করা হলে সেতুর লেন দুটি আরো প্রশস্ত করা সম্ভব। এসব কারণে ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা সেতু বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেতু বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী এক লেন সড়কের মাপ সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৩ মিটার। অথচ এ সেতুর একটি লেনের মাপ ৬ দশমিক ৩ মিটার। এ কারণেই গাড়ির চাপ বাড়লে সেতুর ওপর দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রেলসেতু চালু হওয়ায় যমুনা সেতুর রেলপথ এখন পরিত্যক্ত। সেতুর গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবহেলায় নষ্ট করা যাবে না এবং এজন্য সড়ক প্রশস্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সচিব মহোদয় দ্রুত দেখবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু চালু হয় এবং সেতুতে রেলপথও স্থাপিত হয়। এ সেতু দিয়ে ঢাকা- উত্তর, পশ্চিমাঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ায় কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। এতে দুর্ভোগের শিকার হয় ট্রেন যাত্রীরা। এ দুর্ভোগ নিরসনে সেতুর ৩’শ মিটার অদূরে দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেল সেতু’ নির্মাণ করা হয়েছে। এ রেলসেতু দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং যমুনা সেতুতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ যমুনা সেতুর পরিত্যক্ত রেলপথ সরিয়ে সড়ক বাড়াতে এ চিঠি দেয়া হয়েছে।