পাবনার ঈশ্বরদীতে এক অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন প্রায় ১৫০০ কৃষক ও কৃষাণী। শনিবার (১৭ মে) মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর এলাকায় জোয়াদ্দার মৎস্য খামারে দিনব্যাপী এ মেডিকেল ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পাবলিক হেলথ বিভাগ এবং পজিটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ ক্যাম্পের উদ্বোধন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খোন্দকার আজিম আহমেদ।
পাবনার জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহজাহান, পাবনা পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজশাহীর পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. মনোয়ারুল হক, পজিটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. হোসাইন মো. আল-আমিন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে কৃষকদের পক্ষে ৩৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষক আলহাজ্ব শাহজাহান আলী (পেঁপে বাদশা)। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান কুল ময়েজ, কৃষক আবু তালেব জোয়াদ্দার, বেলী বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিচু চাষে জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক মো. আব্দুল জলিল কিতাব মন্ডল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, "কৃষকের স্বাস্থ্যহানি মানে খাদ্য উৎপাদনে বিঘ্ন। তাই কৃষকের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।" তিনি কৃষকদের জন্য সহজশর্তে ঋণ প্রদান এবং ঈশ্বরদীতে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ ক্যাম্পে কয়েক হাজার কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন।
