ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে ঈদুল আযহাকে ঘিরে জমে উঠেছে পশুর হাট

লালমনিরহাটে ঈদুল আযহাকে ঘিরে জমে উঠেছে পশুর হাট

পবিত্র ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন পশুহাট জমে উঠতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন হাটে এখন প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় খামারে ও গৃহস্থবাড়িতে লালিত গরু। যদিও এখনও ভারতীয় গরুর আমদানি সীমিত, তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে ভারতীয় গরুর প্রবাহ।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দুড়াকুটিহাট, নবাবেরহাট (বিডিআরহাট), সাপটানা (নয়ারহাট), বড়বাড়ীহাট ছাড়াও জেলার অন্যান্য বড় হাটের মধ্যে রয়েছে পাটগ্রামের রসুলগঞ্জহাট, হাতীবান্ধার বড়খাতাহাট ও দইখাওয়াহাট, কালীগঞ্জের কাকিনাহাট ও চাপারহাট এবং আদিতমারীর সাপ্টিবাড়ীহাট। এসব হাটে ইতোমধ্যেই কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে।

দুড়াকুটিহাটে ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক সংখ্যক গরু উঠলেও দাম চড়া হওয়ায় বিক্রি অনেকটা থমকে আছে। বিক্রেতারা বলছেন, পশুর আমদানি এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি, তাই দাম কিছুটা বেশি। তবে ক্রেতারা বলছেন, ঈদের এখনো সময় আছে, তাই তারা অপেক্ষা করছেন দাম কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার।

হাট সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, এবারের কোরবানির বাজারে দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি থাকবে। কারণ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরুর আমদানি তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া গত কয়েক বছরে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা এবছর বড় পরিসরে খামার করেননি। ফলে স্থানীয় গৃহস্থদের পালন করা গরুই এবার হাটে ভরসা হয়ে উঠেছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা ১,৭১,৭৭৭টি হলেও প্রস্তুত রয়েছে ২,৬২,৬৩১টি পশু। এতে দেখা যাচ্ছে, জেলার চাহিদার তুলনায় প্রায় ৯০ হাজার ৮৫৪টি পশু বেশি রয়েছে।

হাট ইজারাদাররা বলছেন, দেশীয় গরুর সরবরাহ ও চাহিদা উভয়ই ভালো থাকায় এবারের ঈদে দেশীয় গরুই প্রধান বাজার দখল করবে। তবে শেষ সময়ে ভারতীয় গরু এলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

পশুর,হাট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত