ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জাকারিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ঘুরে দাঁড়াতে চান মুকুল হোসেন

জাকারিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ঘুরে দাঁড়াতে চান মুকুল হোসেন

পাবনার ঈশ্বরদীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাকারিয়া ফাউন্ডেশন আবারও আর্ত মানবতার সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভোগা ইঞ্জিনিয়ার মুকুল হোসেনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তার জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পাবনা সদর উপজেলার কিসমতপ্রতাপপুর খাঁ পাড়ার বাসিন্দা মুকুল হোসেন (৩৭) ২০০২ সালে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি সিলেটের দেশ এনার্জি পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত অবস্থায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন। সেই থেকে তিনি ব্রেন ও হার্ট স্ট্রোকের শিকার হয়ে এক হাত ও এক পা প্যারালাইজড অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। পরবর্তী পরীক্ষায় তার হার্টের দুটি ভাল্ব ফুটো ধরা পড়ে। এলাকাবাসী ও বন্ধুদের সহায়তায় ভারতে দেবী শেঠির হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি করিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

বর্তমানে মুকুল হোসেন তার বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের সহায়তায় নিজ বাড়িতে একটি ছোট মুদি দোকান পরিচালনা করছেন। তবে অসুস্থতা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে, মুকুল হোসেনের দুর্দশার কথা জানতে পেরে ঈশ্বরদী জাকারিয়া ফাউন্ডেশন আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২৫ মে (রবিবার) বিকেলে মুকুল হোসেনকে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।

সহায়তা পেয়ে মুকুল হোসেন বলেন, “এই সাহায্য আমাকে নতুনভাবে বাঁচার সাহস দিয়েছে। আমি এই পুঁজি দিয়ে দোকানটিকে বড় করতে চাই, যাতে পরিবারসহ একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারি।” তিনি ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

মুকুলের বৃদ্ধ বাবা-মাও জাকারিয়া ফাউন্ডেশনের এই মহতী উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

এ বিষয়ে জাকারিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি গোলাম কবির বলেন, “মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই সহায়তা প্রদান করেছি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে আমাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে।”

জাকারিয়া ফাউন্ডেশন,সহায়তা,মুকুল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত