"উন্নত রাষ্ট্র গঠনের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নাগরিক অপরিহার্য। একজন নাগরিকের সুস্থতার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পুষ্টিকর খাদ্য। তাই আমাদের প্রত্যেককেই পুষ্টির বিষয়ে সচেতন হতে হবে"—জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইউএনও রিফাত আসমা আরও বলেন, “বর্তমানে আমাদের শিশু-কিশোরদের মধ্যে জাঙ্ক ফুডের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের পুষ্টির ঘাটতির পাশাপাশি নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এই বিষয়ে অভিভাবকদের বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। পুষ্টিকর ও ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে সন্তানদের উৎসাহিত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “পুষ্টি শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্য ইস্যু নয়, এটি জাতির ভবিষ্যতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, কর্মক্ষমতা ও শিক্ষায় অগ্রগতির জন্য সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই।”
সভায় বক্তব্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মংক্যচিং সাগর বলেন, “আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা দরকার। অতিরিক্ত তেল, লবণ ও ঝালযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং অতিরিক্ত শুঁটকি খাবারের ব্যবহার কমাতে হবে। প্রতিটি পরিবারেই সুষম খাবারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”
আয়োজক সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাঙামাটি সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রান্তিক পর্যায়ে পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আলোচনা সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্যকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।