ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাবনায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ গবাদিপশু

পাবনায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ গবাদিপশু

পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষ্যে পাবনায় দেশীয় পদ্ধতিতে ৬ লাখ ৪৮ হাজার কোরবানির জন্য গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। দিনরাত পরিশ্রম করে লাভের আশায় এসব পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব কোরবানির পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করা হয়। সড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি, ডাকাতি রোধ করা গেলে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী খামারিরা।

পাবনা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একেএসএম মুশারফ হোসেন বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, ছাগল, মহিষ রয়েছে। এ বছর পাবনায় ছয় লাখ ৪৮ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাবনায় চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ১২ হাজার পশুর। জেলার চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে প্রায় তিন লাখ ৩৫ হাজার, যা দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।

তিনি আরো জানান, জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ ও চরাঞ্চলে ঘাসের প্রচুর্যের কারণে সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু-ছাগল পালন করায় এই এলাকার পশুর চাহিদা অন্যান্য অঞ্চলে বেশি।

প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশে এক কোটি ২৪ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ লাখ মোটা তাজা গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর দেশে এক কোটি চার লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এ বছর তেমনই আশা করছে এ বিভাগ। এবার চাহিদার চেয়ে প্রায় ২০ লক্ষাধিক বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ফলে সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের।

পাবনা সদরের দাপুনিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, যমুনা নদী পথে রাজধানী ঢাকায় পশু নিতে গেলে মাঝপথে জোর করে নৌকা থামিয়ে পশু নামাতে বলা হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন অনেক ব্যবসায়ীরা। সড়ক পথে প্রায় চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়।

আটঘরিয়ার গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, খামারি জয়নাল ও আনোয়ার জানান, ট্রাকে করে ঢাকা যেতে হয়, মহাসড়কে ডাকাতি হয় অনেক সময়। প্রশাসনের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। আমরা সারা বছর কষ্ট করে গরু লালনপালন করেছি, ডাকাতির কবলে পড়তে চাই না। ডাকাতের কবলে পড়লে সর্বস্বান্ত হয়ে যাবো। এজন্য মহাসড়কে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

তারা আরো বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরে গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে অনেক। তবুও এবার সড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি, ডাকাতি রোধ করা গেলে আমর খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা লাভবান হবো। বাজারে পশুর দাম বেশ ভালো।

পাবনার পুলিশ সুপার মো. মোরতাজা আলী জানান, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রতি নগদ অর্থ বহন না করে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কোরবানি,গবাদিপশু
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত