ঢাকা শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

খেয়া ঘাটের অনিয়মের অভিযোগ 

কাউখালী সয়না-হুলারহাট খেয়াঘাট যেন মরণ ফাঁদ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

কাউখালী সয়না-হুলারহাট খেয়াঘাট যেন মরণ ফাঁদ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বদ্বীপ খ্যাত ইউনিয়ন সয়না রঘুনাথপুরের সাথে পিরোজপুর জেলা শহরে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ও সংক্ষিপ্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সয়না হুলারহাট খেয়া ঘাট। এই ঘাট থেকে প্রতিদিন ইউনিয়নের শত শত ছাত্র ছাত্রী, কৃষক, শ্রমিক ও সাধারন মানুষ স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সহ জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজের সন্ধানে সয়না রঘুনাথপুর থেকে হুলার হাট খেয়া পাড় হয়ে পিরোজপুরে যাতায়াত করে।

আর এই খেয়াঘাটটি বিশাল নদী কালীগঙ্গার তীরে সয়নায় অবস্থিত। এখান থেকে হুলারহাটে যেতে সয়না রঘুনাথপুরের প্রায় ২ শত মিটার নদীর চড়ের উপরে চিকন বাঁশের সাঁকো পাড় হয়েই খেয়া পারাপারের ট্রলারে উঠতে হয়। এই খেয়াঘাটের বাঁশের সাকো নাজুক ও দূর্বল হওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত সাঁকো থেকে পড়ে অনেকেই দুর্ঘটনা স্বীকার হয় আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। সয়না, মেঘপাল,রঘুনাথপুর, ধাবড়ী, শির্ষা, বান্দাকান্দা, হোগলা, বেতকা,, সোনাকুর দত্তেরহাট সহ ৮ গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে এই খেয়াঘট দিয়ে। এমনকি এমনকি পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দেরহাট থেকে শুরু করে বাটনাতলা গ্রামের সাত থেকে আটটি গ্রামের লোকজনও সংক্ষিপ্ত পথে পিরোজপুর জেলা শহরে যেতে এই খেয়াঘাট ব্যবহার করে । সরকারি কোন ট্রলার না থাকায় এখানে হুলারহাট এবং সয়না দুই পাড়ের প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ট্রলার যাত্রী পারাপার করে তাদের জীবন জীবিকা অর্জন করে।

অথচো এই গুরুত্বপূর্ন খেয়াঘাটে হুলার হাটের অংশে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও কাউখালী সয়না রঘুনাথপুর ঘাটে বছরের পর বছর সাঁকোটিও সঠিক ভাবে মেরামত করা হয়না। এ দিকে এই ঘাট থেকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করলেও যাত্রীদের দূভোগ নিরসনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা নানা কুট কৌশল করে চলতি অর্থ বছরে ঘাট ইজারা না দিয়ে খাস কালেকশন করে পটেক ভারী করারও অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী সাবিনা, মুনুমুন এবং এবাদুল সহ অনেক যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন যে, সয়না থেকে হুলারহাট যেতে ভরপুর যাত্রী হলে প্রত্যেক যাত্রীকে ২০ টাকা দিতে হয়।

আবার যাতী কম হলে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা গুনতে হয়। এ ব্যাপারে সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, এই ঘাট ইজারা দিয়ে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করলেও যাত্রীরা কোনো সুবিধা পায় না। ২ থেকে ২৫০ মিটার নদীর চরের উপর থেকে নড়বরে বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে খেয়ার ট্রলারে উঠতে হয়। চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি নিজে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পিরোজপুরের বরাবরে ঘাটটি সংস্কারের জন্য আবেদন করলেও কোনো লাভ হয়নি। অথচো যাত্রীদের কাছে থেকে জুলুম করে সরকারি নির্ধারিত টাকা থেকে অরিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রাশাসকের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয় নাই।

ঝুঁকি,খেয়াঘাট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত