কিশোরগঞ্জে কটিয়াদীতে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ছাতা মেরামতের কারিগরদের কদর বেড়েছে। বৃষ্টির জন্য মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ ও কোচিং এ যেতেও বৃষ্টির মধ্যে ছাতার প্রয়োজন হচ্ছে। যাদের ছাতা নষ্ট হয়ে আছে তারাই নিয়ে আসছেন কারিগরদের কাছে। বৃষ্টি কিংবা রোদে উভয় সময়েই প্রয়োজন হয় ছাতার। এজন্য ছাতার কারিগররাও পথের ধারে বসেন পসরা সাজিয়ে।
কটিয়াদীতে এ পেশা ধরে রেখেছে অনেকেই। কটিয়াদী বাজারে সাপ্তাহিক হাটবার বৃহস্পতিবারে দেখা যায়, পুরাতন কিংবা ছেঁড়া ছাতা মেরামতের জন্য অনেকেই নিয়ে আসছেন কারিগরদের কাছে। কারিগরা ছাতা মেরামতের ব্যস্ত সময় পার করছেন৷
ছাতা কারিগর আব্দুল হামিদ জানান, আমি কিশোরগঞ্জ থেকে প্রতি সপ্তাহে হাটের দিন বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল রোডে বসি। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে আজ কাজের চাপ বেশি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রাস্তার মোড়ে মোড় বসে ছাতা মেরামত করি। প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারি। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করছি।
কারিগর সুবান মিয়া জানান, এটা আমার মৌসুমি পেশা। সপ্তাহে একদিন আসি। পরিচিত সবাই এদিন ছাতা ঠিক করতে হাটে আসে৷ বৃষ্টি বাড়লে আমাদের ইনকাম বেড়ে যায়।’
ছাতা ঠিক করতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, ছাতা সবসময়ই প্রয়োজন হয় আমাদের। রোদের তাপ থেকে বাঁচতে আর বৃষ্টি হলে তো ছাতা ছাড়া উপায় নেই। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসটি ঠিক করতে নিয়ে এসেছি।