কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গভীর রাতে একটি বাড়িতে অস্ত্রের মুখে সকল সদস্যদের জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা বাড়ির মালিক এবং তিন ভাড়াটিয়া পরিবারের স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, "গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে পাকুন্দিয়া পৌরসভার শ্রীরামদী এলাকার বিএডিসি কোল্ড স্টোর সংলগ্ন একটি বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
ওসি আরও জানান, "ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত বাড়ির মালিক ইছাম উদ্দিন (৭০)-কে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।"
বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, রাত সোয়া ২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা দরজা ভেঙ্গে সকলকে জিম্মি করে একটি কক্ষে বন্দি করে ফেলে। এরপর প্রতিটি ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
ভুক্তভোগী বাড়ির ভাড়াটিয়া রাসেল মিয়া বলেন, আমি একজন ছোট ব্যবসায়ী। বিকাশ ও ফ্ল্যাক্সির ব্যবসা করি। ডাকাতরা আমার ক্যাশ ব্যাগ থেকে ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ও স্ত্রীর স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এভাবে প্রতিটি ঘর থেকেই সকল ভাড়াটিয়ার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে তারা।
বাড়ির মালিকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ভাবন ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় অবস্থানে করছেন। তিনি মুঠোফোনে জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে ভাবতেও পারিনি। ভাড়াটিয়ারা আমাকে জানিয়েছে ডাকাতরা সবার মালামাল লুট করে গেট দিয়ে বেরিয়ে কাভার্ডভ্যানে পালিয়ে যায়। আমার বাবার কাছে জমানো ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমি কিশোরগঞ্জ ফিরে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।