অনলাইন সংস্করণ
১১:৩৫, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কানাডার পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এবার মার্কিন পণ্যের ওপরও একই হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর এই শুল্কহার প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে মঙ্গলবার থেকেই। আরো ১২৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করতে ২১ দিন সময় দেওয়া হবে।
আমেরিকান বিয়ার, ওয়াইন, বরবন উইস্কি, ফল, কমলার রসসহ ফলের জুস, সবজি, পারফিউম, পোশাক, গৃহস্থালী সামগ্রী, ক্রীড়া সামগ্রী, আসবাবপত্রও নতুন শুল্কের আওতায় পড়বে বলে জানান ট্রুডো।
নিজ দেশের জনগনকে সতর্ক করে ট্রুডো বলেন, আগামী দিনগুলো আপনাদের জন্য কঠিন হবে এবং ট্রাম্পের শুল্ক আমেরিকানদেরও ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
আমেরিকানদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মুদি দোকানের খাবার, পাম্পে গ্যাসসহ তারা আপনার জন্য খরচ বাড়াবে। তারা অত্যাবশ্যক পণ্যের সাশ্রয়ী মূল্যের সরবরাহে আপনার যে অবাধ সুযোগ ছিল তা বাধাগ্রস্ত করবে।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ এবং চীনের পণ্যে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রুডোর পক্ষ থেকেও একই ধরনের ঘোষণা আসে। এই তিন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে।
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পৃথক দুটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। পাশাপাশি চীন যতক্ষণ না ‘ফেন্টানিল’ মাদকের পাচার বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।
তেল শোধনাগার এবং মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প কানাডা থেকে জ্বালানি পণ্যের পর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। অপরদিকে মেক্সিকার জ্বালানি পণ্যের ওপর সম্পূর্ণ ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দীর্ঘতম সীমান্ত ভাগাভাগির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবেই পরিচিত ছিল। তবে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
