সিরিয়ায় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানে দেশটির আলাউইত সম্প্রদায়ের ৭৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এই আলাউইত সম্প্রদায় সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত।
দেশটিতে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থার বরাতে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং মিত্র শক্তিগুলো গত তিনদিনে আলাউইত সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুসহ ৭৪৫ জনকে হত্যা করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে ১২৫ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং বাশার আল-আসাদের অনুগত ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন এলাকাগুলোতে আসাদের প্রতি অনুগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেন সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি।
তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি এবং অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যাওয়ার ও মৃত্যুর জন্য জোর দিচ্ছে। পছন্দটি স্পষ্ট; আপনার অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।
আলাউইতের বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা সিরীয় নাগরিকদের ওপর আক্রমণ এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আত্মসমর্পণ করুন।
এদিকে আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে, হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে।