সরাসরি ইসরায়েলের ভেতরে দ্বিতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হাইব্রিড আক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
শনিবার (স্থানীয় সময়) রাতভর চলা এই হামলায় ইসরায়েলের বহু শহরে সাইরেন বেজে ওঠে, আতঙ্কে মানুষ ছুটেছে বোমাশেল্টারের দিকে।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে বড় পরিসরে হামলা শুরু হবে—এমন খবর প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান। নতুন করে শুরু এ হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোনও ব্যবহার করছে তেহরান।নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুঁটছেন ইসরায়েলিরা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাইফা ও কিরিয়াত শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরাসরি আঘাত হেনেছে নাকি মাঝপথে ধ্বংস করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস জানায়, উপকূলীয় অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবনে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কোথাও কোথাও আগুনও লেগেছে। জরুরি সেবাদাতা সংস্থাগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ নামের সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দিকে একসাথে ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এই দফার হামলায় মূল লক্ষ্য ছিল হাইফা ও তেল আবিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো। আকাশে অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, যার বেশ কিছু ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, ইরানের এই আক্রমণের জবাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের সামরিক স্থাপনাগুলোর দিকে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। একযোগে ইসরায়েল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট সক্রিয় করে ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহতের চেষ্টা করে।
আবা/এসআর/২৫