ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ইরান দক্ষিণ ইসরায়েলের বিরসেভা শহরের সোরোকা হাসপাতালের কাছে হামলা চালালে, এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, 'তেহরানের স্বৈরাচার শাসকদের কাছ থেকে এই হামলার পূর্ণ মূল্য আদায় করা হবে।'
এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে নেতানিয়াহু লেখেন, 'ইরানের সন্ত্রাসী স্বৈরাচারীরা সোরোকা হাসপাতাল ও একটি বেসামরিক জনবসতিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল এই হামলা বিনা জবাবে ছাড়বে না।'
হামলায় অন্তত ৪৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (MDA)। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর, দুজন মাঝারি এবং বাকিরা আংশিক আহত। আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে দৌড়ে যাওয়ার সময় আহত হয়েছেন ১৮ জন।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, 'সোরোকা হাসপাতালের পাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরান লাল সীমানা অতিক্রম করেছে। এটি সরাসরি যুদ্ধাপরাধ।'
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরসেভা শহরে ইরানের বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং সোরোকা হাসপাতালের পাশের সামরিক স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হানার পর বিস্ফোরণের ধাক্কায় হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তেল আবিবে অবস্থিত ইসরায়েলি স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনও।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল সোরোকা হাসপাতালের পাশে থাকা একটি ‘সংবেদনশীল’ সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনা। এই হাসপাতাল বর্তমানে গাজা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আহত ইসরায়েলি সেনাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে প্রতিদিনই উত্তেজনার নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক বার্তা থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, ইসরায়েল এবার আরও কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে।