ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে এবার ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করছে আঙ্কারা।
আল জাজিরার লাইভ আপডেট সূত্রে জানা গেছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ইরান-তুরস্ক সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে সেনা মোতায়েন। তবে এখনো ইরান থেকে কোনো অভিবাসনপ্রবাহ বা অস্বাভাবিক চলাচল লক্ষ্য করা যায়নি।
বিমান প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি ও নজরদারি রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তুরস্ক নিজস্ব প্রযুক্তিতে স্তরযুক্ত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করছে। এই কৌশলের আওতায় রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি মোতায়েন চলছে। সংঘাত বাড়লে এই ব্যবস্থাগুলো সক্রিয়ভাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল যখন ১২ জুন রাত থেকে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানে হামলা শুরু করে, তখন তুর্কি সীমান্তের আকাশে প্যাট্রল বিমান টহল দিতে দেখা যায়।
সংঘাতের পটভূমি ও নিহতরা ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি কমান্ডার হোসেইন সালামি, এবং পরমাণু বিজ্ঞানীসহ কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে তেহরান। এই হামলার প্রতিশোধে ইরান শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’, যেখানে তেহরানের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে।
আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে বিশ্লেষকদের মতে, তুরস্কের প্রস্তুতি ইঙ্গিত দিচ্ছে-সংঘাত আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। বিশেষত, যদি যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশগুলো বা অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তি জড়িয়ে পড়ে, তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক শুধু আত্মরক্ষামূলক কৌশল নয়, বরং ভবিষ্যতের অনিশ্চিত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী ভূমিকাও নিতে পারে, এমন ধারণা করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।