কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে আগাম সতর্ক করায় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনা ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে- তেহরান কেন এই সতর্কবার্তা দিয়েছিল?
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের উদ্দেশ্য ছিল প্রতীকী বার্তা দেওয়া। অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক স্টেফান ফ্রুহলিং বলেন,
'ইরান চেয়েছিল দেখাতে যে তারা প্রতিশোধ নিচ্ছে, কিন্তু বড় ধরনের সংঘাত চায় না। আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে তারা সেই সংকেতই দিয়েছে।'
ফ্রুহলিং আরও ব্যাখ্যা করেন, ইরান এমন সময় ও লক্ষ্য বেছে নেয় যাতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক বিমান ও সেনা সরিয়ে নিতে পারে। এটি ছিল একটি কৌশলগত ‘সীমিত প্রতিক্রিয়া’।
এদিকে ইরাক ও কাতারে হামলার পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ইরান ও ইসরায়েল-উভয়পক্ষ থেকেই ভিন্ন সুর পাওয়া যাচ্ছে। ইরানি সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ ট্রাম্পের ঘোষণাকে 'মিথ্যা' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক নেড প্রাইস বলেন,
'এই ঘোষণা বাস্তবভিত্তিক নয়। এটি রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র। এই সংঘাত এখনো অনেক দূর গড়াতে পারে।'
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের আগাম সতর্কতা ছিল দ্বিমুখী বার্তা-একদিকে প্রতিশোধ, অন্যদিকে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ। আর ট্রাম্প সেই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করেছেন নিজের কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে তুলে ধরতে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, আল-জাজিরা.