পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন চিকিৎসক ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা। ধর্মঘটের কারণে সারাদেশের হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগের পাশাপাশি বুধবার বৈকালিক চেম্বারও বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে পাঁচ দফা বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (১২ মার্চ) সারাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সরকারি বেসরকারি সকল হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর সেবা বন্ধ থাকবে, কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় জরুরি সেবা (আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যাজুয়ালিটি সেবা, অ্যাডমিশন ইউনিট ও লেবার ওয়ার্ড) চলমান থাকবে। একইসঙ্গে বৈকালিক চেম্বার বন্ধ থাকবে।
এতে আরও জানানো হয়, বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকিৎসকদের মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হলো। ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের চিকিৎসকরা সমাবেশে যোগ দেবেন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হল-
১. এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতে চলমান এ সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সব রিট আবেদন আগামী ১২ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশে ‘ডিপ্লোমা চিকিৎসক’ নামে বিভ্রান্তিকর কোনো পদবির প্রচলন করা যাবে না, যার অস্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা বিশ্বের কোথাও নেই।
২. ‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস /বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না’ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৩. আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।
৫. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।