জানা গেছে, বিদ্রোহী অংশটি রওশন এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শেখ শহীদুল ইসলাম ও এম এ মতিনের নেতৃত্বে থাকা বিভিন্ন সময় ভাঙন থেকে জন্ম নেওয়া জাপা অংশগুলোকে একত্রিত করে বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টা করছে। ২৮ জুনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই এই সম্মেলন হওয়ার কথা। তবে জিএম কাদের দাবি করছেন, নির্ধারিত ভেন্যু বাতিল হওয়ায় সম্মেলন আপাতত স্থগিত, যা বিদ্রোহী অংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
জিএম কাদেরের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এই হঠাৎ বিদ্রোহে তারা বিস্মিত ও কিছুটা নার্ভাস। তারা মনে করেন, সরকারপন্থি চাপ ও প্রশাসনিক বাধার কারণে কাদেরপন্থি অংশ কোনো হোটেল বা হলরুম পাচ্ছে না। অন্যদিকে বিদ্রোহী অংশ দাবি করছে, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিল করে নেতৃত্ব ঠিক করতে চায়।
বর্তমানে ‘জাতীয় পার্টি’ নামে অন্তত সাতটি আলাদা দল সক্রিয়, যার মধ্যে তিনটির নেতৃত্বে রয়েছেন এরশাদের পরিবার-সংশ্লিষ্টরা। এরশাদের মৃত্যুর পর বিভাজন আরও তীব্র হয়েছে, এবং এখন জিএম কাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ জাপা গঠনের চেষ্টার মধ্য দিয়ে আবারও দলটি নতুন করে সঙ্কটে পড়েছে।
২৮ জুনের কাউন্সিলকে ঘিরে জাতীয় পার্টি নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে-জিএম কাদের নেতৃত্ব হারালে ‘নতুন জাপা’র চেহারা স্পষ্ট হবে, অন্যথায় বিদ্রোহী অংশ আরও একটি স্বতন্ত্র পরিচয় নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে বলেই বিশ্লেষকদের মত।