
একইদিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণায় জনগণ হতাশ হয়েছে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এমন ঘোষণা দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল না।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত দলের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ পর্যালোচনা করে দেখবো, কি ধরনের কর্মসূচি নিতে পারি। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৯ সালে, কিন্তু সেখানে মাঝখানে ২০২৬ সালের নির্বাচন কিসের? এই জুলাই সনদের আইনের ভিত্তিতে তৈরির মাধ্যমে হবে। কিন্তু সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান তিনটি কাজ সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার, সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা দেখছি একটি দলের শুধু নির্বাচন নিয়ে যত তৎপরতা। তবে মৌলিক সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দেখি না। যা আমাদের কাছে সন্দেহজনক।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, লাখ লাখ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত দেশে আজও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা আজও হয়নি। বরং তামাম দুনিয়ার মধ্যে চোরের দিক থেকে এ দেশ ফার্স্ট হয়েছে। হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছে। আয়নাঘরের মতো ভয়াবহ বহু নির্যাতন কেন্দ্র চালু হয়েছে। চাঁদাবাজি আজও বন্ধ হয়নি।
ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ভারসাম্যপূর্ণ একটা দেশ গঠন করতে চাই। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাই।