ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হেলথ কর্নার

‘প্রতিদিন ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতির শিকার’

‘প্রতিদিন ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতির শিকার’

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জোরালো হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানির সঙ্গে সরকারের বৈঠক ডব্লিউএইচও এফসিটিসি-এর আর্টিকেল ৫.৩ লঙ্ঘন এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। কোম্পানির মতামত গ্রহণ জনস্বার্থবিরোধী : সেমিনারে চিকিৎসকরা বলেন, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির কোনো মতামত নেওয়া যাবে না। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে স্টেকহোল্ডার মিটিংয়ের নামে কোম্পানির অংশগ্রহণ বন্ধ করতে হবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে।

প্রতিবছর ১ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যু : মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি জানান, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং প্রায় ৪ লাখ মানুষ পঙ্গুত্বের শিকার হন। প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তার মতে, আইন সংশোধনে আর বিলম্ব মানে জনস্বাস্থ্যের প্রতি সরাসরি অবহেলা।

সরকারকে দায় নিতে হবে : সভাপতির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ তামাকের কারণে মারা যাচ্ছেন। এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু রোধে আইন সংশোধনে বিলম্ব অগ্রহণযোগ্য এবং এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, তামাক কোম্পানির একমাত্র লক্ষ্য মুনাফা। তাদের মতামত গ্রহণ মানেই জনস্বার্থকে উপেক্ষা করা।

অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ বলেন, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজীবন তামাকবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ধূমপায়ীরা চাকরির জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তার সেই চেতনা ধরে রেখে গণস্বাস্থ্য ভবিষ্যতেও তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত