
আজকাল খাদ্যাভ্যাস অনেক শারীরিক জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই বাইরের ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া খাচ্ছেন। মুখে সুস্বাদু লাগলেও এসব খাবারের প্রভাবে বাড়বে ইউরিক অ্যাসিড। অনেকে প্রথমদিকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে তেমন একটা পাত্তা দেন না। ফলে পায়ের পাতা ফোলা, হাঁটু ফোলা, কনুইয়ে ব্যথার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘসময় কোথাও বসে থাকলে ফুলে যায় পায়ের পাতা। আর এর থেকে শুরু হয় বাত বা আর্থারাইটিসের সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, শুরু থেকেই যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তাহলে সমস্যা কমানো সম্ভব। নয়তো সময়ের সঙ্গে জটিলতা বাড়তে থাকবে। যা ক্ষতি করবে কিডনি ও হৃদপিণ্ডেরও। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ধরা পড়লে খাদ্যতালিকা থেকে অনেক খাবারই বাদ দিতে হয়। এই যেমন- পালং শাক, টমেটো, মসুর ডাল, খাসির মাংস, কেক, কফি ইত্যাদি খাওয়া ছাড়তে হয়। তবে এমন কিছু ফল রয়েছে যা নিয়মিত খেলে দ্রুতগতিতে কমে ইউরিক অ্যাসিড।
চেরি : চেরিতে আছে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের ব্যথা, বেদনা দূর করে। শুধু তাই নয়, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতেও দারুণ সাহায্য করে এই ফল।
লেবু : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ইউরিক অ্যাসিডের চরম শত্রু। শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়লে দ্রুত গতিতে কমে যায় ইউরিক অ্যাসিড। তাই নিয়মিত খান কমলালেবু, পাতি লেবু, মোসাম্বি লেবু। কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
আপেল : কেবল ভিটামিন সি নয়, ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ভিটামিন এ-ও দারুণ কাজ করে। এক্ষেত্রে উপকারি ভূমিকা রাখে আপেল। এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। রোজ একটি করে আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেসঙ্গে কমবে অ্যাসিডিটিও।