
শরীরের লিভারের নিচে থাকা ছোট্ট একটি থলিকে বলা হয় পিত্তথলি। লিভারের তৈরি রস জমা করে রাখে এটি। এই পিত্তরস হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার হজম করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি। কোনো কারণে যদি এই পিত্তরস জমে কঠিন আকার ধারণ করে তখন পাথর সৃষ্টি হয়। একে গলব্লাডারের স্টোন বা পিত্তথলির পাথর বলে।
পিত্তথলিতে পাথর হয় কেন : পিত্তরসে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে এটি জমে পাথর তৈরি করতে পারে। আবার যদি কোনো কারণে পিত্তরস ঠিকভাবে প্রবাহিত না হয়, তাহলে এটি জমেও পাথর হতে পারে। লিভারের রক্তে থাকে বিলিরুবিন নামক পদার্থ। বিভিন্ন কারণে এটি বেড়ে গেলে পিত্তরসেও বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা পাথরের সৃষ্টি করতে পারে। যেসব খাবারে বেশি চর্বি থাকে, তা হজম করতে বেশি পরিমাণ পিত্তরসের প্রয়োজন হয়। তাই এই রস বেশি জমে পাথরের কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ওজন এবং ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস এরমধ্যে অন্যতম।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ : তীব্র পেটে ব্যথা, পেটে ফোলাভাব ও গ্যাস হওয়া, বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া, পিঠে ব্যথা, ত্বকে হলুদ ভাব ও চোখের সাদা অংশে হলদেটে ভাব।