ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্টারনেট

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্টারনেট

ওয়্যারলেস ইন্টারনেট প্রযুক্তি গত শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এটি স্মার্টফোন, কম্পিউটার কিংবা ন্যাভিগেশন সিস্টেমকে বাতাসের মধ্য দিয়ে ডেটা আনানেওয়ার কাজটি করতে দেয়। তবে প্রযুক্তিটি নিখুঁত নয়, এটি নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ে। প্রতিযোগী ওয়্যারলেস সিগনাল, কঠিন বস্তু এমনকি খারাপ আবহাওয়াও ইন্টারনেট সংযোগে প্রভাব ফেলে। ওয়্যারলেস ইন্টারফিয়ারেন্স বুঝতে হলে আগে জানতে হবে যে স্যাটেলাইট, রেডিও বা সেল টাওয়ারের মতো প্রতিটি ট্রান্সমিটার আসলে আল্ট্রাসনিক তরঙ্গ প্রেরণ করে যা রিসিভারের অ্যান্টেনায় ধরা পড়ে। সবচেয়ে ভালো ফল পেতে হলে ট্রান্সমিটার আর রিসিভারের মধ্যে কোনো বাধা না থাকা জরুরি। এ কারণেই মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ারগুলো এত উঁচু হয়। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি সবসময় অনুকূলে থাকে না। বাতাসে ধূলিকণা, গাছপালা কিংবা বাড়ির দেওয়ালের মতো জিনিস সিগনালকে দুর্বল করে দেয়। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ এসব বস্তু ভেদ করতে পারে না, ফলে সিগনাল প্রতিফলিত হয়ে ভেঙে যায়। এর ফলেই গাড়ির রেডিওতে স্ট্যাটিক শব্দ শোনা যায় বা ইন্টারনেটে ডেটা লস হয়। ডেটা হারালে ট্রান্সমিটারকে সেটি আবার পাঠাতে হয় যার কারণে ডাউনলোডের গতি কমে যায়। খারাপ আবহাওয়ায়ও একই সমস্যা হয়। মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা কিংবা পানির উপস্থিতি সিগনালকে ভেঙে ফেলে, ফলে সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়ে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ‘হাও স্টাফ ওয়ার্কস’। স্যাটেলাইট টিভি ও ইন্টারনেট অনেকের জন্য সুবিধাজনক সমাধান, বিশেষ করে যেসব এলাকায় অন্য কোনো সংযোগ নেই। তবে অন্যান্য ইন্টারনেট পরিষেবার তুলনায় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট খারাপ আবহাওয়ার সময় বেশি বিঘ্নিত হয়। কারণ, স্যাটেলাইটগুলো আকাশের অনেক ওপরে কক্ষপথে অবস্থান করে। ফলে তাদের সিগনাল মেঘের বাধার সম্মুখীন হয়। স্বাভাবিক আবহাওয়ায় এতে সমস্যা হয় না কিন্তু বজ্রঝড়ের সময় বিশাল মেঘ সহজেই সিগনাল দুর্বল করে ফেলে। তখন ডেটা ধীরগতিতে পৌঁছায় বা কয়েক মিনিটের জন্য পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত