ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্বাস্থ্য কর্নার

নিয়ম মানলেও থামছে না ডায়াবেটিস

নিয়ম মানলেও থামছে না ডায়াবেটিস

কয়েক দশকে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিপুল হারে বেড়েছে। সাধারণত আগে বয়স্কদের মধ্যে এই রোগ দেখা যেত। বর্তমানে যুবক ও মধ্যবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে। অনেকের শরীরে এই রোগ জিনগতভাবে চলে আসে, আবার কেউ কেউ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে আক্রান্ত হন।

চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার সতর্কতা মানলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে সমস্যা হলো, নিয়ম মেনে চললেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা কোনো না কোনো অঙ্গহানির শিকার হন। কারও চোখে ছানি পড়ে, কারও পা অবশ হয়ে যায়, কারও ঘা শুকাতে দীর্ঘসময় লাগে, যা রোগীকে দীর্ঘদিন ভোগায়। দিনাজপুর শহরের বাসিন্দা নাজমুল হক মোল্লা। তিনি ছাড়াও পরিবারের সাত ভাই-বোন ও বাবা-মা সবাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। নাজমুল হক বলেন, ডাক্তারি ভাষায় তার ডায়াবেটিস টাইপ টু পর্যায়ে আছেন। ফলে তাদের সকাল দুপুর ও রাতে ইনসুলিনের পাশাপাশি ওষুধও খেতে হয়। তবে অনিয়ম হলে শরীরে তেমন কোনো সিগন্যাল দেয় না। কিন্তু নানা সমস্যা অনুভব করেন।

নাজুমল ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘২০ বছর ধরে এই রোগে ভুগছি। সকাল দুপর এক রকম, রাতে আরেক রকম ইনসুলিন নিতে হয়। নিয়মমতো চলি কিন্তু তবুও চোখের সমস্যায় দেখা দিয়েছিল। কিছু দিন আগে চোখে রক্তক্ষরণ হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সেই চোখে ইনজেকশন পুশ করেন।

এরপর ভালো হয়ে গেছে।’ তার মতে, নিয়ম মানলেও অঙ্গহানি ঘটে, না মানলেও ঘটে। প্রতি রাতে পা জ্বলে ও অবশ হয়ে যায়। প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। ইনসুলিন না নিলে ডায়াবেটিস বেশি হয়। তখন আর ট্যাবলেটে কাজ হয় না। ইনসুলিন বন্ধ করলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। ২০২১ সালে চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। গত ঈদুল ফিতরে চোখের সমস্যায় ছানি অপারেশন করেছি।

উত্তরের জেলা নীলফামারীর বাসিন্দা সেকেন্দার আলীর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে ২০০৯ সালে। চোখের সমস্যা ও পায়ের অবশ হয়ে গেছে ৬০ বছর বয়সি এই বৃদ্ধের। ১৬ বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত সেকেন্দার এখন দৃষ্টি হারাতে বসেছেন। পা অবশ হয়ে যায় তারা। ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপেও।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত