বিগত এক মাস পূর্বে হালদা নদীতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে ভেঙে যাওয়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মহানগর এলাকার ভুবণ মহাজন বাড়ির একটি গ্রামীন সড়কের ভাঙা অংশ মেরামত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সড়কটির ভাঙ্গা অংশের এমন বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজারো মানুষকে। অচিরেই সড়কটির ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি সংস্কারের আওতায় আনা না হলে পুরো এলাকা যেমন প্লাবিত হবে তেমনি ভাবে শ্মশান ও মন্দিরে যেতে ভোগান্তি আরো বাড়তে পারে।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের ভাঙে যাওয়া অংশটি এড়িয়ে কষ্ট করে পার হচ্ছেন একদল শিশু ও বেশ কয়েকজন নারী। এ সময় অটোরিকশায় করে আসা এক রোগীকে বাধ্য হয়ে নেমে যেতে হয়েছে ওই স্থানটিতে। স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক সুধীর বরণ দেব বলেন- বন্যায় ভেঙে যাওয়া সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মন্দির ও শ্নশানে যেতে এলাকাবাসীর সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে, তাছাড়া কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য আনা নেওয়া করতে কষ্ট পাচ্ছে। বেবি দেব নামে স্থানীয় এক মহিলা জানান- এ সড়ক দিয়ে যেতে না পেরে হেঁটে ভাঙা স্থানে পাশের জমির উপর দিয়ে এলাকাবাসীকে পারাপার হতে হচ্ছে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পুজার্থী ও স্থানীয়দের। মন্দির রক্ষা কমিটির সভাপতি কেশব দেব বলেন, বন্যায় সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও মেরামত হয়নি। অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অতি দ্রুত ভাঙা স্থানে একটি কালর্ভাট নির্মাণের দাবি জানান তিনি।