ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাটহাজারীতে ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে

হাটহাজারীতে ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে

হাটহাজারীতে ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৯ মাস বয়সি শিশু থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশুদের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা টাইফয়েড প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। প্রথম ধাপে স্কুল, মাদ্রাসা, নুরানি থেকে শুরু করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুরাও এর আওতায় থাকবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারীতে উপজেলায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টাইফয়েড একটি পানিবাহিত রোগ। বাংলাদেশে বর্তমানে উচ্চ ঝুঁকিতে এ রোগে। এ রোগ প্রাণঘাতী না হলেও ভোগায়। এ রোগে শিশুদের আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। বছরে এ রোগেই প্রায় ৮ হাজার শিশু মৃত্যবরণ করে। এরইমধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে শিশুদের মাঝে এ টিকা প্রদান করা হয়েছে। কারো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। অনেক শিশু টিকার প্রারম্ভে ভয় পেতে পারে এবং তা স্বাভাবিক। সেটাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলা যায় না। এতে অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। টিকা গ্রহণের পর যদি কোনো শিশুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রেই এন্টিডোড প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে সার্বক্ষণিক যাবতীয় সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রাখা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কান্তি মজুমদার বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া টিকার নেওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের দেখা যায়। এর পরে শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক নাই। তাই টিকা নেওয়ার পর কমপক্ষে আধাঘণ্টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা জরুরি। অনেক অভিভাবক ভয়ে কিংবা বিভিন্ন গুজবে কান দিয়ে টিকা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত