
মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের বেহাল দশার কারণে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। পাহাড়ি এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী। এছাড়া মাঝে মধ্যে পাহাড় ধ্বসে যাওয়ার কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরসরাই থেকে ফটিকছড়ি যাওয়ার জন্য উভয় উপজেলার লোকজন এই সড়ক ব্যবহার করেন। প্রতিদিন সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ট্রাক, মিনি ট্রাক চলাচল করে থাকে। বিগত কয়েক মাস ধরে সড়কের বেহাল দশার কারণে গাড়ি নিয়ে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে সড়কে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তায় কাঁদা হওয়ায় থাকার কারণে চলাচল করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে রাতের আঁধারে গাছবাহী ও বালুবাহী বড় ট্রাক চলাচলের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। মোটরসাইকেল আরোহী জসীম উদ্দিন বলেন, রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ মোটরসাইকেল নিয়ে চলা যাচ্ছে না। তার উপর পাহাড়ি উঁচুনিচু রাস্তার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের অনেকাংশে সড়ক ধসে পড়েছে পাহাড়ের কানালে। এছাড়া বেশকিছু অংশে পাহাড় ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
খানাখন্দ ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে যাত্রী নেমে খালি গাড়ি পারাপার হতে দেখা যায়। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সড়কের দুইপাশে লেবু, কাঠাল, আনারসের বেশ কিছু বাগান রয়েছে। বিশেষ করে লেবু উৎপাদন বেশি হয় এই পাহাড়ে। লেবু চাষি নুরুল মোস্তফা বলেন, সরাসরিভাবে পাহাড়ের কিছু জায়গা লিজ নিয়েছেন। সেখানে তিনি লেবু বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়েছেন। বিভিন্ন এনজিও ব্যাংক থেকে তার লোন নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল পাওয়া যায় না। পরিচর্যার জন্য প্রতিদিন ৮-১০ জন মানুষ কাজ করেন। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমাদের খুব ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করা ব্যাংক কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন সুমন জানান, আমার বাড়ি মিরসরাই। অফিস ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাট বাজারে হওয়ায় প্রতিদিন এই সড়কে আমি যাতায়াত করি। তবে সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় আরও ঝুঁকি বাড়ছে। স্বেতছরা এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, এবার টানা বৃষ্টি ও মাটি বেশি হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এছাড়া সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। এছাড়া মুমূর্ষু রোগী নিয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়।