ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কালুরঘাট-চাক্তাই সড়ক ও বাঁধ প্রকল্প শেষ পর্যায়ে

কালুরঘাট-চাক্তাই সড়ক ও বাঁধ প্রকল্প শেষ পর্যায়ে

দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে নগরীতে প্রবেশের অন্যতম একটি পথ হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। জেলা থেকে এই পথে আসা লোকজনের পাশাপাশি কালুরঘাটসহ আশপাশের এলাকার মানুষকেও চট্টগ্রামের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে যেতে হয় দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে। ঘুরপথে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আবার বাড়তি পরিবহন খরচও লাগে। খুব সহসাই কালুরঘাট থেকে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা সড়কটি চালু হলে মাত্র ১৫ মিনিটেই যাতায়াত করা যাবে এই ব্যবসা কেন্দ্রে। কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে সাড়ে আট কিলোমিটারের একটি সড়ক নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তবে এটি শুধু একটি সড়কই নয়, শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবেও কাজ করবে। প্রকল্পের আওতায় এতে যুক্ত করা হয়েছে বিস্তৃত পরিসরের বিনোদন কেন্দ্রও। ফলে চলাচলের পথে মুগ্ধ করবে নদীর নৌকাণ্ডসাম্পান, ছোট-বড় জাহাজের দৃশ্য এবং স্নিগ্ধ হাওয়া। সড়কটি তাদের মনে করিয়ে দেবে কক্সবাজার-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের কথা। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দুই হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরবর্তী সময়ে তা ৪৬৯ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৭৭৯ কোটি টাকায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। গত ২২ সেপ্টেম্বর সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থানে স্থানে চলছে পাথরের কার্পেটিংয়ের কাজ। তবে রাস্তা হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই প্রতিদিন শত শত মানুষ গাড়ি নিয়ে বেড়াতে চলে যাচ্ছেন এই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে। রিং রোডটি পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত করবে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ককে।

‘কালুরঘাট-চাক্তাই সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় এ পর্যন্ত ৮৫-৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা বলা হলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরের মধ্যেই সড়কের কাজ শেষ করতে চান তারা। সিডিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা এবং সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে এই সড়ক করা হচ্ছে। এতে নগরের যান চলাচলে গতি আনার পাশাপাশি পিছিয়ে থাকা এলাকার জীবনমান উন্নয়ন, পর্যটন এবং আবাসনসহ সার্বিক ক্ষেত্রে শহর রক্ষা বাঁধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, নগরীর বহুমুখী উপকারে আসবে প্রকল্পটি। এটি সড়ক ও বেড়িবাঁধ হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নদীর আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠবে আবাসন, বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প। এতে পাল্টে যাবে বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার দৃশ্যপট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত