ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লোহাগাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল

লোহাগাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। জানা যায় এই এলাকার উপর বয়ে যাওয়া টংকাবতী খালের উপর গত ১৫ বছর আগে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে এ সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটাতে উত্তর আমিরাবাদের মহুরি পাড়া, ঘোনাপাড়া, চৌধুরীপাড়া,রাহাত আলী পাড়া ও সৈয়দ পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হয়। এছাড়া উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ এম.বি. উচ্চ বিদ্যালয় ও বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি অতিক্রম করতে হয় শিক্ষার্থীদের ।

ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে সারা বছর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে তাদের। সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় টংকাবতী খালের উপর কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ সাঁকো। সাঁকোটির কোথাও কোথাও গর্ত হয়ে গেছে। তারপরও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার সব জনসাধারণ। শিক্ষার্থীরা জানান তাদেরকে ছোটবেলা থেকে অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। এছাড়া সাঁকো পারাপারের ভয়ে বর্ষাকালে অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত যেতে চায় না। এতে পিছিয়ে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী। তাই নির্বিঘ্নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে অস্থায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো সরিয়ে সেখানে একটি স্থায়ী সেতু তৈরির জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, গত ১৫ বছর ধরে অনেক চেয়ারম্যান-মেম্বার শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কেউ এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি তৈরির কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। একদিকে প্রতিবছর বর্ষাকালে স্রোতের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। আর বার বার নিজেদের টাকায় মেরামত করতে হয় এলাকাবাসীর। এই পর্যন্ত সরকারি কোনো উদ্যোগে মেরামতও করা হয়নি। তিনি আরও বলেন বিশেষ করে ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে অসুস্থ রোগী ও বয়স্কদের নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া বৃষ্টির দিনগুলোতে সাঁকো দিয়ে পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ কমাতে একটি স্থায়ী সেতুর জোর দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হেনা মোস্তফা জানান, আমি চাইলেও এত বড় কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ একজন ইউপি সদস্য একসঙ্গে এত টাকা বরাদ্দ পায় না। তাই সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে টংকাবতী খালের উপর এই সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছি। লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইরফান মুনির জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচলের কথা শুনেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত