ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানা নেই

* কসাইখানার অভাবে মাংস বিক্রেতারা স্থানীয় ভরাট বোয়ালিয়া খালের পাশে খোলা জায়গা ও যাতায়াতের রাস্তায় গবাদি পশু জবাই করছেন। এতে নাড়িভুঁড়ি ও রক্তের পঁচা দুর্গেন্ধে আশপাশের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং বাতাস বাহিত সংক্রামক ব্যাধির রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটছে প্রতিনিয়ত। এতে মানুষের জনস্বাস্থ্য এক প্রকার হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে
লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানা নেই

লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানার অভাবে যত্রতত্র পশু জবাই করছে মাংস বিক্রতারা। এতে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বটতলী মোটর স্টেশন উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা। ১৯৮৩ সালে অভিভক্ত সাতকানিয়া থানা থেকে পৃথক হয়ে ৯ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় এ উপজেলা। ওই সময় থেকে বটতলী মোটর স্টেশন উপজেলা সদর বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে আসছে।

উপজেলা গঠনের পর থেকে এর গুরুত্ব ও কার্যক্রম অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন পণ্য-সামাগ্রী বেচাকেনার পাশাপাশি কাঁচা বাজার ও মাছ-মাংস ক্রয়-বিক্রয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এ স্টেশনে । বিশেষ করে গবাদি পশু গরু ও মহিষের মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় মাংস বিক্রেতারা প্রতিদিন ৮-১০টি গরু ও মহিষ জবাই করে উক্ত স্টেশনের বাজারে ভাসমান দোকানে বসে বিক্রি করেন। খুচরা বিক্রি ছাড়াও দোকানিরা প্রতিদিন পাইকারি মূল্যে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাংস সরবরাহ করেন। এসব গবাদি পশু জবাই করার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কোনো নির্দিষ্ট কসাইখানা নেই। দরবেশহাট বাজারের পূর্ব পাশে ভরাট বোয়ালিয়া খালের পাশে পুরাতন আমলের পরিত্যক্ত লক্কর-ঝক্কর একটি কসাইখানা কালের স্বাক্ষী হিসেবে পড়ে আছে। তাও ব্যবহার অযোগ্য। যে কারণে পশু জবাই করার আগে তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না সে ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রক্রিয়াও চলমান নেই। উপজেলা স্যানিটেশন বিভাগের কার্যক্রম এ ব্যাপারে সচল নয়।

কসাইখানার অভাবে মাংস বিক্রেতারা স্থানীয় ভরাট বোয়ালিয়া খালের পাশে খোলা জায়গা ও যাতায়াতের রাস্তায় গবাদি পশু জবাই করছেন। এতে নাড়িভুঁড়ি ও রক্তের পঁচা দুর্গেন্ধে আশপাশের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং বাতাস বাহিত সংক্রামক ব্যাধির রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটছে প্রতিনিয়ত। এতে মানুষের জনস্বাস্থ্য এক প্রকার হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মাংস বিক্রেতা আবদুল মন্নান বলেন, কসাইখানার অভাবে তারা গবাদি পশু জবাই করতে হিমশিম খাচ্ছেন। মান্ধাতা আমলের লক্কর-ঝক্কর কসাইখানা পরিত্যক্ত ও ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। তাই উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে বোয়ালিয়া খালের পাশে পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করে যাচ্ছেন তারা। সরকারি বিধি-বিধান মতে গবাদি পশু জবাই করে বিক্রি করার জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শের আলী বলেন, মাংস বিক্রেতারা ইচ্ছে করলে নিজেদের উদ্যোগে একটি স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানা নির্মাণ করতে পারেন। এ ব্যাপারে অনেকবার তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কর্ণপাত করছেন না বরং বর্তমানে বোয়ালিয়া খালের পাশে উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে পশু জবাই করে পরিবেশ দূষিত করছেন। এতে আশপাশের জনস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। তাই অতি শিগগিরই খোলা আকাশের নিচে এভাবে পশু জবাই করে পরিবেশ দূষিত না করার জন্য তাদেরকে আইনি নোটিশ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত